জমি ও অর্থ বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বাধা
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জমি ও অর্থ বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে প্রধান বাধা। তাই সবধরণের জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে।
রাজধানীতে নবায়নযোগ্য সম্মেলনের সমাপনি সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি ইন্সটিটিউট ও বাংলাদেশ সৌরশক্তি সমিতির যৌথ আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের মূল মিলনায়তনে তিন দিনের এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সৌর বিদ্যুতে অনেক জমি প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশে পড়ে থাকা জমি নেই। প্রায় সবই উর্বর কৃষি জমি। ফণে সেখানে জমি নষ্ট করে সৌর করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ করতে ৪০০ একর জমি লাগে। আর ১০০ মেগাওয়াট তেল বা গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুুৎকেন্দ্র করতে লাগে মাত্র সাত একর জমি। বাংলাদেশে সৌর বিদ্যুৎ প্রসারে সরকার ৫০ ভাগ সহায়তা দেয় বলে তিনি জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীতে যানবাহনগুলো ইলেকট্রিক হয়ে যাবে। তাই ইলেকট্রিক বা সোলার চার্জিং স্টেশন দ্রুত করার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। বৈশ্বিক পরিবর্তনের সাথে সমন্বয় করেই পরিকল্পনা নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় গুলো নতুন নতুন চিন্তাভাবনা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন নিয়ে নীতিনির্ধারকদের যুগপোযোগি নীতিমালা তৈরিতে সহায়তা করতে পারে।
শক্তি ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি আব্দুল মতলুব আহমেদ, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, ডিপিডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান, ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) মো. শাহিদ সারওয়ার বক্তৃতা করেন।
মতলুব আহমেদ বলেন, ২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ইলেক্ট্রিক গাড়ি আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনদিনের এই সম্মেলনে সেমিনার, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, বিতর্ক ও ২৫ প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তি ও দ্রব্যাদি প্রদর্শন করা হয়। ১৬ কলেজ ও ১৬টা বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্কে অংশ নেয়। বিতর্কে কলেজ পর্যায়ে বিএফ শাহীন স্কুল এন্ড কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ইস্ট ওয়েষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়।