জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় ঋণ নয়, অনুদানের দাবি
বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যার বিষয়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা সব থেকে বেশি। তবে এই সমস্যাকে কোনো উন্নয়নের সমস্যা হিসাবে না দেখে বৈশ্বিক সমস্যা হিসাবে দেখতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
সেমিনারে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হাছান মাহমুদ বলেন, এই খাতে ঋণ নয়, বাংলাদেশের অনুদান পাওয়া উচিৎ। জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তি করে তা দিয়ে কেউ যদি ব্যবসা করতে চায় সেটা ঠেকানো উচিত। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তার প্রস্তাব দিয়ে গেছে। তাদের এমন প্রস্তাবকে আমরা ভালোভাবে দেখছি। কিন্তু এই অর্থ ঋণ হিসাবে নয় বরং অনুদান হিসাবে দিতে হবে। কারণ বাংলাদেশ বিনা দোষে ক্লাইমেট চেইঞ্জের ভিক্টিম। উন্নয়নের জন্য ঋণ নেওয়া যেতে পারে, কিন্তু জলবায়ু ইস্যুতে কোনো ঋণ নয়।
বেসরকারি সংস্থা ইক্যুইটিবিডি আয়োজিত ‘বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীর পক্ষে নাগরিক সমাজের প্রস্তাবনা’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরাম, বাংলাদেশ ইন্ডেজিনাস পিপলস অন ক্লাইমেট চেইঞ্জ অ্যান্ড বায়োডাইভারসিটি, ক্লাইমেট চেইঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামসহ আরও কয়েকটি সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
পরে বিকেলে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, “জলবায়ু তহবিলের বাণিজ্যিকীকরণের একটা বিষয় সামনে চলে আসছে। বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ এর মত বৈশ্বিক অর্থ লগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান তহবিলে টাকা ছাড়ের সঙ্গে জড়িত হচ্ছে। এইচএসবিসি ব্যাংকও নাকি এই অর্থ ছাড় করবে।