জলবায়ু তাড়িত উদ্বাস্তুদের জন্য সার্ক চার্টার দাবি

জলবায়ু তাড়িত অভিবাসীদের মুক্ত চলাচলের জন্য একটি সার্ক চার্টার” করার আহ্বান জানিয়েছ পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠেয় ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে নেতাদের প্রতি তারা এ আহ্বান জানান। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলাদেশ দলিত এন্ড এক্সক্লুডেড রাইট মুভমেন্ট (বিডিইআরএম), বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস), ইক্যুইটি এন্ড জাস্টিস ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইক্যুইটিবিডি), ইনস্টিটিউট অব এনভায়রনমেন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি), খানি বাংলাদেশ, নাগরিক উদ্যোগ এবং সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র) এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
ইক্যুইটিবিডি’র মোস্তফা কামাল আকন্দের সঞ্চালনায় এবং পিপল’স সার্ক বাংলাদেশ প্রসেসের সভাপ্রধান ড. মাহবুব ই রশীদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাপা’র আব্দুল মতিন, নাগরিক উদ্যোগের জাকির হোসেন এবং সুপ্র’র মঞ্জু রাণী প্রামাণিক।

সংবাদ সম্মেলনে অন্য যেসব দাবি করা হয় তা হলো-সার্ক অঞ্চলে অধিকাংশ মানুষের জীবন ও জীবিকা কৃষি নির্ভরশীল হওয়ায় সার্ক দেশগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে চীনের সাথে সুষম পানি বণ্টন নীতি প্রতিষ্ঠা করতে যাতে সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে কৃষি ও জলবিদ্যুতের উন্নয়ন করা যায়, জরুরি ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জলবায়ু সংক্রান্ত সার্ক ঢাকা ও থিম্পু ঘোষণা বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিতে হবে, আন্ত:সীমান্ত শান্তি, নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থান প্রতিষ্ঠায় যথোপযুক্ত কৌশল গ্রহণ করতে হবে এবং এর জন্য প্রয়োজনে সামরিকায়নের ব্যয়  হ্রাস করে তা মানব উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে হবে।
বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল মতিন তার বক্তব্যে বলেন, বহু প্রতিক্ষীত পানি বিষয়ক ইস্যু নিয়ে অবিলম্বে যথাযথ কৌশল গ্রহণ করতে হবে এবং অমিমাংসীত বিষয়সমুহ সমাধানের জোর দিতে হবে। তিনি ভারত-বাংলাদেশ সহ সার্ক দেশগুলোর মধ্যে যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য নদীভিত্তিক পরিবহনের উপর গুরুত্ব দেন যাতে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যোগাযোগ সহজ হয়। ডা. আব্দুল মতিন আরো বলেন, সার্ক সম্মেলন বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান কী, তা অবিলম্বে জনসন্মুখে প্রকাশ করা উচিত।
নাগরিক উদ্যোগের জাকির হোসেন বলেন, সার্ক অঞ্চলের সাধারণ মানুষের চাহিদার মধ্যে পার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু সার্ক নেতৃবৃন্দের উচিত সেই পার্থক্য ঘুঁচিয়ে ঐক্যের ভিত্তিতে সার্ক অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য কাজ করা।