জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কমিশন গঠনের দাবি
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা অর্থায়নে সুশাসন নিশ্চিত করতে একটি উচ্চক্ষমতার কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ ছাড়া উন্নত দেশগুলোর প্রতি প্রতিশ্রুত অর্থ ছাড় করার আহ্বান জানিয়েছে দুর্নীতির ওপর নজরদারি করা সংগঠনটি।
বুধবার ব্র্যাক সেন্টার ইন মিলনায়তনে টিআইবি আয়োজিত ‘বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসন: প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রায়োগিক অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।
সভায় পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘এমনও প্রকল্প পাওয়া গেছে, যার অর্থ ছাড় হয়ে গেছে কিন্তু কাগজপত্র ঠিক নেই। আমরা জলবায়ু প্রকল্পগুলোর অনিয়ম ও দুর্নীতি দূর করার জন্য চেষ্টা করছি।’
সভায় মহাহিসাবনিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মাসুদ আহমেদ বলেন, সরকারের অন্য প্রকল্পগুলোর মতো জলবায়ু প্রকল্পগুলোরও নিরীক্ষা করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল জলবায়ু তহবিল ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সুশাসনের ওপর জোর দেন। অন্যদিকে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, পরপর চার বছর ট্রাস্ট তহবিলে উল্লেখযোগ্য হারে অর্থ বরাদ্দের পর ২০১৪-১৫ বাজেটে মাত্র ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যথেষ্ট নয়।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জলবায়ু পরিবর্তন সুশাসন প্রকল্পের (সিএফজিপি) সমন্বয়কারী মু. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, তহবিল বরাদ্দের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও জাতীয় স্বার্থের চেয়ে রাজনৈতিক বা অন্য কোনো স্বার্থে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন রেজিলিয়েন্স ফান্ডের (বিসিসিআরএফ) কারিগরি কমিটি বাতিল করেছে এমন প্রকল্প জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড (বিসিটিএফ) থেকে অনুমোদন পেয়েছে। ঠিকাদার নির্বাচনে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও সরকারি ক্রয়নীতি লঙ্ঘন করা হয়েছে।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দিদারুল আলম জলবায়ু তহবিলে আরও স্বচ্ছতা আনতে মহাহিসাবনিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়কে আরও গভীর নিরীক্ষার আহ্বান জানান।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক শারমিন্দ নীলোর্মি প্রকল্প পরিকল্পনায় লৈঙ্গিক সংবেদনশীলতাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার আহ্বান জানান।