জাতীয় গ্রীডে যোগ হলো ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ

জাতীয় গ্রীডে যোগ হলো ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল) নতুন দুটি বিদ্যুৎ ইউনিট পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করেছে। এদুটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ২২৫ ও ২০০ মেগাওয়াট করে। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্মাণাধীন ৪টি ইউনিটের মধ্যে প্রথম দুইটি চালু করা হয়েছে। বাকী দুইটির নির্মাণ কাজ চলছে।
২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে এ ইউনিট থেকে দৈনিক ১৪৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে পুরো ক্ষমতার বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ২০০ মেগাওয়াটের মডিউলার পাওয়ার প্লান্ট থেকে পরীক্ষামহৃলক ১০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে।
কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী নুরুল আলম জানান, বিদ্যুতের নতুন ইউনিটগুলোর কাজ দ্রুত চলছে। কিছু বাস্টøবায়ন হয়েছে, কিছু বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুইটি ইউনিটের পরীক্ষামহৃলক উৎপাদন শুরু হয়েছে। বাকিগুলো নির্ধারিত সময়ে উৎপাদনে আসবে।
জানা যায়, প্রায় ৯০০ মেগাওয়াটের অপর দুটি ইউনিটের মধ্যে ৪৫০ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট (দক্ষিণ) ইউনিটের প্রায় ৮৬ ভাগ কাজ ও ৪৫০ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট (উত্তর) প্রকল্কেপ্পর ৪৬ ভাগ শেষ হয়েছে। সবগুলো ইউনিট চালু হলে প্রায় এক হাজার ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে।
২০১৩ সালের জুলাই মাসে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পটির উদ্বােধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইউনিটগুলো হল- ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল, ৪৫০ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল (সাউথ), ৪৫০ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল (নর্থ) এবং ২০০ মেগাওয়াটের মডিউলার পাওয়ার প্লান্ট।
বর্তমানে আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৯টি ইউনিট আছে। ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে আরো ৪টি। নতুন ৪টি ইউনিট চালু হলে মোট আশুগঞ্জে মোট ইউনিট হবে ১৭টি। আশুগঞ্জ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।