জানুয়ারিতে বঙ্গোপসাগরে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ শুরু

তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল নির্মাণকাজ শুরু হবে আগামী বছরের জানুয়ারিতে । মহেশখালীর পশ্চিমে উপকূল থেকে সাড়ে সাত কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে এই ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ হবে।
টার্মিনালে স্থাপিত ভাসমান স্টোরেজ রিগ্যাসিফিকেশন প্ল্যান্টের মাধ্যমে এলএনজিকে গ্যাসে পরিণত করে সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হবে। এই লক্ষ্যে
মহেশখালী থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত ৯১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইন নির্মাণ শেষ পর্যায়ে। আবার আনোয়ারায় নির্মিত সিটি গেট স্টেশন থেকে বাখরাবাদ পর্যন্ত দীর্ঘ ২১০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন বিষয়ে জানতে চাইলে, প্রকল্পের কর্মকর্তা আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘আমেরিকার এক্সিলারেট এনার্জি নামের একটি কোম্পানি সাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করবে। ইতিমধ্যে তারা স্থান জরিপ করেছে। নকশা তৈরির কাজ চলছে। আগামী জানুয়ারিতে টার্মিনাল নির্মাণ শুরু হবে। জুনের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে বলে আশা করছি। এই টার্মিনাল থেকে দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে।’

মহেশখালী থেকে সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে আনোয়ারায় নির্মিত সিটি গেট স্টেশনে গ্যাস আনা হবে । সেখান থেকে চট্টগ্রামের বিতরণ লাইনে গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এই পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আবু সাঈদ মাহমুদ জানান, ৯১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। আনোয়ারা ও মহেশখালীতে দুইটি স্টেশন নির্মাণের কাজ চলছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে  শেষ হবে। আনোয়ারায়   নির্মিত স্টেশন থেকে চট্টগ্রামের বাইরে নেয়ার জন্য প্রায় ২১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য উচ্চ চাপের সঞ্চালন লাইন নির্মাণের জন্য দুটো প্রকল্প নেয়া হয়েছে। প্রকল্প দুটো একনেকে অনুমোদন পেয়েছে। এসব প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণ ও মালামাল ক্রয়ের কাজ চলছে। প্রকল্পের মধ্যে আনোয়ারা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হবে। এই সঞ্চালন লাইনের কিছু অংশ কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণ করতে হবে।

ফৌজদারহাট থেকে কুমিল্লার বাখরাবাদ পর্যন্ত প্রায় ১৮১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৩৬ ইঞ্চি ব্যাসের আরেকটা সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হবে। গত ২৬ ডিসেম্বর প্রকল্পটা একনেকে অনুমোদন পেয়েছে। ২০১৯ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। চট্টগ্রামের পুরাতন বিতরণ লাইনের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নতুন বিতরণ লাইন নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেছে কেজিডিসিএল। চট্টগ্রামে উচ্চ ক্ষমতার ১৪৯ কিলোমিটার ও ৩ হাজার কিলোমিটার বিতরণ লাইন রয়েছে।