জালালাবাদের গ্যাসের দাম না বাড়ানোর সুপারিশ
আয় বেশি থাকায় জালালাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির গ্যাসের দাম না বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বিইআরসির মূল্যায়ন কমিটি। একটি কোম্পানির ব্যয়ের তুলনায় যে পরিমাণ আয় হওয়া দরকার, তারচেয়ে বেশি আয় করছে কোম্পানিটি।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কার্যালয়ে গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ নিয়ে অনুষ্ঠিত শুনানীতে এই সুপারিশ করা হয়। কাওরান বাজারের টিসিবি ভবনে বিইআরসি মিলনায়তনে বাখরাবাদ গ্যাসকে এই পরামর্শ দেন কমিশন। কমিশনের চেয়ারম্যান এ আর খানের সভাপতিত্বে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের দুই সদস্য মো. মাকসুদুল হক ও রহমান মোরশেদ। ভোক্তাদের পক্ষে শুনানীতে অংশ নেন অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম, রাজনীতিবিদ রুহিন হোসেন প্রিন্স, জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।
চলতি বছর বিইআরসির কাছে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস ২৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬৫ পয়সা করার প্রস্তাব দেয় জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানি। মুল্যায়ন প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তাদের গ্যাস বিক্রি করে প্রতি ঘনমিটারে আয় হবে ২৫ পয়সা। অথচ তাদের বর্তমান ব্যয় পরিচালনার জন্য প্রয়োজন হয় প্রতিঘনমিটারে ১২ পয়সা। অর্থাৎ তাদের আয়ের চাহিদার চেয়ে বেশি থাকছে আয়। এ অবস্থায় কোম্পানিটির গ্যাাসের ডিস্ট্রিবিউশন চার্জ বাড়ানোর প্রয়োজন নেই।
ভোক্তাদের পক্ষে ড. শামসুল আলম বলেন, কোম্পানিতে যেহেতু নতুন করে গ্রাহকদের গ্যাস সংযোগ নেয়া হচ্ছে না। সুতরাং নতুন করে লোকবল নেয়া প্রয়েজন নেই। এ ছাড়াও কোম্পানি গ্রাহক বাড়ানোরও পরিকল্পনা নেই। তাই নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর কোনো যোক্তিকতা নেই।
কমিশনের চেয়ারম্যান এ আর রহমান বলেন, আপনারা কোম্পানির লোকসানের আশঙ্কা করেন তখন কমিশনের কাছ আসবেন। কিন্তু লাভজনক অবস্থানে থেকে গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব অযৌক্তিক।