জীববৈচিত্র্য আইন-২০১৫’ এর খসড়া অনুমোদন

বাংলাদেশের ‘জীববৈচিত্র্য’ রক্ষায় সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে আইন করা হচ্ছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য আইন-২০১৫’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, ২০১৩ সালের ১০ জুন এ আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা।

পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এটা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পেশ করা হয়। বিস্তারিত আলোচনার পর তা চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা অনুমতি ছাড়া বাংলাদেশের কোনো ‘জীববৈচিত্র্য বা জীবসম্পদ’ এর বিষয়ে তথ্য বা জ্ঞান সংগ্রহ, সংরক্ষণ, গবেষণা বা বাণিজ্যিক ব্যবহার করতে পারবে না। এই বিধিনিষেধ প্রযোজ্য হবে বিদেশি নাগরিক বা অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও।

এ আইন ভাঙলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড, অথবা উভয় দণ্ড দেয়া যাবে। ২০১৩ সালে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপিত খসড়াতেও একই সাজার কথা বলা হয়েছিল।

জীববৈচিত্র্য বা এ সম্পর্কিত জ্ঞান ব্যবহারের অনুমতি দিতে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির কাজ তৃণমূল পর্যায় ভাগ করে দেয়া হবে।

সচিব বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্য সনদে স্বাক্ষরকারী এবং অংশীদার। বিপুল জনসংখ্যার এই দেশের মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার স্বার্থেই জীববৈচিত্র্য রক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদে বলা আছে, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এখানে বাধ্যবাধকতা আছে। তাছাড়া এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদ ‘কনভেনশন অন বায়োলজিক্যাল ডাইভার্সিটি’তে বাংলাদেশ অনুস্বাক্ষর করেছে। এ হিসেবেও দায়বদ্ধতা আছে।