জ্বালানিতে ৮শতাংশ বিদ্যুতে ৯২
রফিকুল বাসার:
আগামি পাঁচ বছর বিদ্যুৎ জ্বালানিতে যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তার মাত্র আট ভাগ জ্বালানিতে। বাকি ৯২ ভাগ বিদ্যুৎখাতে। বরাবরের মত এসময় বিদ্যুতে থাকবে বেশি নজর। কোন রকম চলবে জ্বালানিখাত।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এই লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ গ্যাসের দাম সমন্বয় করে ভর্তুকি কমানো হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে নেওয়া হবে ৩০ হাজার মেগাওয়াটে। এর ১০ ভাগ হবে নবায়নযোগ্য। বেশি খরচের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো পর্যায়ক্রমে করা হবে বন্ধ। আর এই সময়ে এই খাতে বরাদ্দ দেয়া হবে পৌনে ২ লাখ কোটি টাকা।
সম্প্রতি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
পরিকল্পনায় (২০২১-২০২৫) আয় বৈষম্য কমিয়ে আনা, আঞ্চলিক বৈষম্য বন্ধ করা, কর্মসংস্থান তৈরি, দ্রুত দারিদ্র্য কমানো, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এই লক্ষ্য অর্জনের সাথে সমন্বয় করে করা হয়েছে বিদ্যুৎ জ্বালানির পরিকল্পনা।
বিদ্যুৎ জ্বালানির পরিকল্পনায় প্রধানত দুটো বিষয়কে জোর দেয়া হয়েছে, দাম সমন্বয়ের মাধ্যমে ভর্তুকি কমানো আর পরিবেশবান্ধব জ্বালানি বাড়ানো।
বিদ্যুৎ জ্বালানির বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি একাধিক ‘জ্বালানি হাব’ করা হবে। মাতারবাড়িসহ একাধিক স্থানে; বিশেষ করে, যে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে তার আশপাশে এই হাব হবে। সরবরাহ ব্যবস্থায় আনা হবে ব্যাপক পরিবর্তন। পরিকল্পনা করা হয়েছে, সারাদেশে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহের।
বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিতরণ, সঞ্চালনে যথেষ্ট বরাদ্ধ থাকলেও গ্যাস অনুসন্ধানসহ জ্বালানি খাতে তেমন কোন নির্দেশনা নেই। নেই বাড়তি উদ্যোগও। প্রাথমিক জ্বালানি চাহিদা মেটানোর মূল উৎস রাখা হয়েছে এলএনজি। কর্মসংস্থানের জন্য শিল্পে গ্যাসের ব্যবহার প্রায় দ্বিগুণ করা হবে।
‘২০৪১ সালে উন্নত আয়ের দেশের জন্য বিদ্যুৎ জ্বালানিকে অন্যতম গুরুত্ব দেয়া হয়েছে’
ড. শামসুল আলম
সদস্য (সিনিয়র সচিব), সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ
দুই খাতেই পর্যায়ক্রমে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। সামগ্রিকভাবে খরচ কমিয়ে সাশ্রয়ী দাম নিশ্চিত করার কথা বলা হলেও শুধু পদ্ধতিগত লোকসান কমানো ছাড়া আর কোন উদ্যোগের কথা বলা হয়নি। বরং দাম সমন্বয় করে ভর্তুকি কমানোর কথা বলা হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম এনার্জি বাংলাকে বলেন, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা দেশের উন্নয়ন ও বিনিয়োগের পথনকশা। এ পরিকল্পনায় বিভিন্ন লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হওয়ার জন্য বিদ্যুৎ জ্বালানিকে অন্যতম গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ জ্বালানির সরবরাহ যথাযথ না হলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই এই খাতে যা যা প্রয়োজন সব দেয়া হয়েছে। ২০২১-২০৪১ মেয়াদে বিদ্যুতের চাহিদা ৯ দশমিক ৩ শতাংশ হারে বাড়বে। সেই লক্ষ্যপূরণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বরাদ্দ
আগামী পাঁচ বছর বিদ্যুৎ জ্বালানির বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) প্রায় পৌনে ২ লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বরাদ্দের মাত্র আট শতাংশ জ্বালানিতে। আর ৯২ শতাংশ থাকছে বিদ্যুতে। মোট এক লাখ ৮৯ হাজার ৯৯০ কোটি টাকার মধ্যে এক লাখ ৭৯ হাজার ৩৮০ কোটি বিদ্যুতে এবং ১৪ হাজার ৬১০ কোটি টাকা জ্বালানিতে দেয়া হয়েছে।
চলতি অর্থবছর বিদ্যুতে ২৪ হাজার ৫১০ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। এরপর পর্যায়ক্রমে বছর প্রতি ২৬ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা, ৩৬ হাজার ২৪০ কোটি টাকা, ৪১ হাজার ৯০০ কোটি এবং শেষ অর্থবছর (২০২৫-২০২৬) ৩ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা দেয়া হবে।
বর্তমানে চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি। জাতীয় প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার জন্য এই বিদ্যুৎ পরিস্থিতি ধরে রাখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
উৎপাদন লক্ষ্য
আগামী ৫ বছরে প্রায় নয় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এই লক্ষ্যপূরণের জন্য নতুন করে কোন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া লাগবে না। চলমান কেন্দ্রগুলো উৎপাদনে এলেই হবে। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ি, রামপাল, পায়রা এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য। এখন সরকারি ও বেসরকারিভাবে ৪৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন। যার উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ হাজার ৯২৪ মেগাওয়াট।
এরমধ্যে ২০২১ সালে ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা হবে। পর্যায়ক্রমে ২০২২ সালে ২৬ হাজার মেগাওয়াট, ২০২৩ সালে ২৮ হাজার, ২০২৪ সালে ২৯ হাজার এবং ২০২৫ সালে ৩০ হাজার মেগাওয়াট।
বেশি দামের বিদ্যুৎ বন্ধ
পর্যায়ক্রমে বেশি দামের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হবে। তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে খরচ বেশি। সাশ্রয়ী দাম নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত।
বর্তমানে বিভিন্ন জ্বালানি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। জ্বালানি ভেদে উৎপাদন খরচে অনেক পার্থক্য। ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ি, ডিজেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ সবচেয়ে বেশি। আর সবচেয়ে কম পানি বিদ্যুতে। ডিজেল দিয়ে উৎপাদন খরচ হয় প্রতি ইউনিটে ২৬ টাকা। এরপর বেশি খরচ হয় ফার্নেস ওয়েলে, প্রতি ইউনিট ১৭টাকা। এলএনজিতে ১৩ টাকা, সৌর ১২টাকা, আমদানি করা কয়লায় ৮টাকা ১০ পয়সা, ভারত থেকে আমদানি করা বিদ্যুৎ ৬টাকা ৪৬ পয়সা, দেশীয় কয়লায় ৬টাকা, দেশের গ্যাসে ২টাকা ৫৭পয়সা এবং পানি বিদ্যুতে উৎপাদন খরচ গড়ে প্রতি ইউনিট ১টাকা।
ভর্তুকি
বিদ্যুৎ জ্বালানিতে ভতুকি কমানোর কৌশল নেয়া হয়েছে। এজন্য আগামি পাঁচ বছর পর্যায়ক্রমে গ্যাস বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। দাম বাড়িয়ে ভর্তুকি কমানো হবে। উচ্চমূল্যের জ্বালানি ব্যবহার বাড়ছে। আর সেই সাথে বাড়ছে ভর্তুকি। ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি ছিল ৩০০ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছর সম্ভাব্য ভর্তুকি ৯ হাজার কোটি টাকা।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি
আগামী ৫ বছরে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১০ ভাগ নবায়নযোগ্য থেকে করা হবে। অর্থাৎ তিন হাজার মেগাওয়াট। এখন হচ্ছে ৭০০ দশমিক ৬১ মেগাওয়াট, যা মোট উৎপাদন ক্ষমতার মাত্র তিন শতাংশ। আগামি ৫ বছরে হবে ২ হাজার ৩৫২ মেগাওয়াট। এর সিংহভাগই সৌর থেকে। সৌর থেকে ২ হাজার ১৪ মেগাওয়াট করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এরমধ্যে এবছর ১২৭ মেগাওয়াট এবং পরের বছর ৫৪২ মেগাওয়াট। তারপর পর্যায়ক্রমে ৮৯৫, ৪০০ ও ২০২৫ সালে ৫০ মেগাওয়াট করা হবে। এছাড়া বায়ু থেকে ৩০০ মেগাওয়াট এবং বর্জ্য থেকে ৪৮ মেগাওয়াট করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
সঞ্চালন ও বিতরণ
২০২৫ সালের মধ্যে চার হাজার কিলোমিটারের বেশি সঞ্চালন লাইন করা হবে। উন্নত করা হবে বিতরণ লাইনও। ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিতরণ লাইন উন্নত করতে এক লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
তেল পরিবহনে পাইপ
দ্রুত নিরাপদ সহজ ও পরিবেশবান্ধব উপায়ে পেট্রোলিয়াম পণ্য পরিবহনের জন্য দেশজুড়ে পাইপ লাইন স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে আগামী পাঁচ বছরে তা কীভাবে হবে তার ব্যাখ্যা করা হয়নি।
পদ্ধতিগত লোকসান
কম দামের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সাথে সঞ্চালন ও বিতরণে পদ্ধতিগত লোকসান (সিস্টেম লস) কমানো হবে। আগামী পাঁচ বছরে এক অংকে অর্থাৎ কমপক্ষে নয় শতাংশে আনা হবে।
আমদানি নির্ভর
আমদানি নির্ভরতায় থাকছে জ্বালানি খাত। আগামি পাঁচ বছর জ্বালানির মূল যোগান হবে আমদানি থেকে। এলএনজি, এলপিজি আর কয়লা আমদানি বাড়বে। ইলেক্ট্রিক কারের কথা বলা হলেও তার নির্দেশনা নেই। পরিবহনের জন্য জ্বালানি তেল আমদানিও কমবে না। তাই আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সব সময় সম্পর্ক থাকবে স্থানীয় দামের।
এলএনজি আমদানি বাড়াবে
প্রাথমিক জ্বালানি চাহিদা মেটাতে এলএনজিই থাকছে ভরসা। এলএনজি আমদানি বাড়িয়ে প্রাথমিক জ্বালানি চাহিদা মেটানো হবে। দেয়া হবে শিল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ অন্যান্য খাতে।
গ্যাসের ব্যবহার বাড়ানো হবে। আগামি পাঁচ বছরে প্রায় ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এর সিংহভাগই শিল্পে ও বিদ্যুতে। এই বাড়তি গ্যাস পুরোটা আমদানি করা হবে।
সংযোগ বন্ধেও আবাসিকে বাড়বে গ্যাস
গ্যাসের চাহিদার যে প্রক্ষেপণ করা হয়েছে সেখানে, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে গ্যাস দেয়া পর্যায়ক্রমে কমানোর কথা বলা হয়েছে। এখন ক্যাপটিভে দৈনিক দেয়া হয় ৪৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কমিয়ে দেয়া হবে ২৮ কোটি ৩০ লাখ ঘনফুট। বিদ্যুতে ২১৯ কোটি ৭০ লাখ ঘনফুট দেয়া হয়; ২০২৫-২৬ অর্থবছরে দেয়া হবে ২৩১ কোটি ৫০ লাখ ঘনফুট। সার, বাণিজ্য আর চা শিল্পে গ্যাসের ব্যবহার বাড়বে না। এখন যা আছে তাই থাকবে। সারে ৩১ কোটি ৬০ লাখ ঘনফুট ব্যবহার হচ্ছে। পাঁচ বছর পরও একই থাকবে। বাণিজ্য ও চা শিল্পে তিন কোটি ৮০ লাখ ঘনফুট ব্যবহার হয়। পাঁচ বছর পরও একই থাকবে।
গ্যাসের ব্যবহার বাড়ানো হবে শিল্পে। এখন হয় দৈনিক ৯২ কোটি ৫০ লাখ ঘনফুট। পরিকল্পনা করা হয়েছে পাঁচ বছর পর হবে ১৫৭ কোটি ৫০ লাখ ঘনফুট। সিএনজিতে ব্যবহার হয় ১৩ কোটি ৯০ লাখ ঘনফুট; হবে ১৭ কোটি ৩০ লাখ ঘনফুট।
সংযোগ দেয়া বন্ধ থাকলেও পরিকল্পনায় আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাস ব্যবহার বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এখন ৪২ কোটি ৫০ লাখ ব্যবহার হচ্ছে। আর পাঁচ বছর পর হবে ৫২ কোটি ৭০ লাখ ঘনফুট।
কয়লা
পরিকল্পনায় বড়পুকুরিয়া থেকে কয়লা উত্তোলন বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, ভূগর্ভস্থ পদ্ধতিতে কয়লা তুলতে সমীক্ষা করা হয়েছে। সমীক্ষা অনুযায়ি বছরে ২৮ লাখ টন কয়লা তোলা হবে। এই কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। সাথে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লা আমদানি অব্যাহত থাকবে।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা
প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য চারটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা করা হবে। এটা তার প্রথম। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) এবং ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ এর লক্ষ্য অর্জণকে সামনে রেখে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। করোনার বিরূপ প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে।
১৯৭৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সাতটা পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অর্থাৎ ২০১৬-২০২০ সময়ে সবচেয়ে বেশি বাস্তবায়ন হয়েছে, ৯৬ শতাংশ।
২০৪১ সালে উন্নত দেশ গড়ার বা উচ্চ আয়ের দেশের যে লক্ষ্য তা বাস্তবায়ন করতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জাতীয় বাজেটের সাথে সঙ্গতি রেখে খাত ভিত্তিক কৌশল, কর্মসূচি, নীতি ও অর্থ বরাদ্দ বর্ণনা করা হয়েছে।
শিল্প, কৃষি, যোগাযোগ আর গ্রামীণ উন্নয়নকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি বাড়ানো হবে। গুরুত্ব দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য, শিক্ষাকে।
দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ সকল মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ ও কার্যাবলী পর্যালোচনা করে দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি এই পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করে। যার প্রধান ছিলেন অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। পরে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিয়ে চূড়ান্ত করা হয়