জ্বালানির এডিপি’র মাত্র অর্ধেক বাস্তবায়ন হয়েছে
এবার জ্বালানি বিভাগের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অর্ধেক বাস্তবায়ন হয়েছে। চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে অর্থাৎ মে মাস পর্যন্ত মাত্র ৫৬ দশমিক ৮০ ভাগ কাজ হয়েছে। চলতি মাসে আরো কিছুটা বাড়তে পারে।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি এবং গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়ন ও পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সভা অংশ নেন।
চলতি অর্থবছর জ্বালানি বিভাগে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ৮৫ ভাগ বাস্তবায়ন হতে পারে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।
২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ ও মে ২০২০ পর্যন্ত ‘বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ৩২টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
করোনার জন্য প্রায় ৪০০ কোটি টাকার মালামাল আনতে না পারায় এডিপি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোম্পানিগুলো কোম্পানি আইনে চালানোর বিষয় ভাবা যেতে পারে।বাপেক্সকে শক্তিশালীকরণের জন্য –এর পরিচালনা পর্ষদে দক্ষ ও পেশাদারি লোক রাখা সময়ের দাবী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় অটোমেশন ও ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া আরও দ্রুত বাস্তবায়ন করা দরকার। অফিসগুলোর আর্কিটেকচার অনুযায়ি অফিস ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করা যেতে পারে।
এলপিজি বা সিএনজি সিলিন্ডার নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখলে দূর্ঘটনা অনেকাংশেই কমে যাবে।
ভার্চুয়াল এই সভায় অন্যদের মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান, বিপিসির চেয়ারম্যান মো. সামছুর রহমান, পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যান এ বি এম আবদুল ফাত্তাহ , বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম ইন্সটিটিউট-এর মহাপরিচালক এ কে মহিউদ্দিন, হাইড্রোকার্বন ইউনিট –এর মহাপরিচালক এ এস এম মঞ্জুরুল কাদের, ভূতাত্ত্বিক জরীপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও জ্বালানি বিভাগের কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।