জ্বালানি: উৎপাদন ও আয়সহ সব সূচক কমেছে, বেড়েছে খরচ
খরচ ও বকেয়া ছাড়া জ্বালানি খাতের সকল সূচকই কমেছে। গ্যাস উৎপাদন, সরবরাহ, বিক্রি, এমনকি মাসিক আয়ও। তবে এত কিছু কমার মধ্যে বেড়েছে নিজস্ব খরচ আর বকেয়ার পরিমান।
পেট্রোবাংলার চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের সাথে ফেব্রুয়ারি মাসের হিসাব পর্যালোচনা করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এনার্জি বাংলার নিজস্ব পর্যালোচনায় দেখা গেছে, জানুয়ারি মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে ১৫ কোটি ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন কম হয়েছে। জানুয়ারি মাসে উৎপাদন হয়েছিল ২৩৭ কোটি ১০ লাখ ঘনফুট। ফেব্রুয়ারিতে তা কমে হয়েছে ২২১ কোটি ৩০ লাখ।
গত বছরের একই সময়ের তুলনায় গ্যাস উৎপাদন কম হয়েছে। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে গ্যাস উৎপাদন ছিল ১৯৫ কোটি ৫০ লাখ ঘনফুট। এবছর সেই উৎপাদন কমে হয়েছে ১৮৩ কোটি ১১ লাখ ঘনফুট।
গ্যাস বিক্রির কম হওয়ায় পেট্রোবাংলার আয় কমেছে। গত মাসের তুলনায় এমাসে পেট্রোবাংলার আয় কমেছে ৩৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আয় কমার ফলে মুনাফা কমেছে। এক মাসের ব্যবধানে পেট্রোবাংলার মুনাফা কমেছে ৭১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। একই সাথে আয়কর পূর্ব মুনাফা কমেছে ৯৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
আয় ও মুনাফা কমলেও খরচ বেড়েছে ৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকা।
আবার বকেয়া পাওনা বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে পেট্রোবাংলার বকেয়া পাওনা বেড়েছে ১৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য এমএস, এইচএসডি, কেরোসিন, কনডেনসেট, এনজিএল ও অকটেন উৎপাদন ১৩ হাজার ৬৫০ লিটার কম হয়েছে। জানুয়ারি মাসে উৎপাদন হয়েছিল ৮১ হাজার ৭৯০ । আর এ মাসে হয়েছে ৬৮ হাজার ১৪০ লিটার।
গ্যাস উৎপাদন কম হওয়ার কারণে পেট্রোবাংলা কিনেছেও কম। গত মাসের তুলনায় এমাসে ১৫ কোটি ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস কম কিনেছে। এতে বিক্রি বা ব্যবহারও কমেছে ১১ কোটি ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস।
প্রতিমাসে যে পাইপ লাইন স্থাপন করা হচ্ছে তাতেও ধীর গতি। প্রায় তিন কিলোমিটার কম পাইপ স্থাপন করা হয়েছে।
গ্যাস সংযোগ প্রায় বন্ধ আছে। তাই নতুন সংযোগ সংখ্যাও কমেছে। চলতি মাসে আগের মাসের তুলনায় তিন হাজার ৭১৭টি সংযোগ কম দেয়া হয়েছে।
অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযান অব্যাহত আছে। তবে গত মাসের চেয়ে এমাসে এক হাজার ৮৬টি অবৈধ সংযোগ কম বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।