জ্বালানি ও বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা হচ্ছে

সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনার অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনের ওপর দ্বিতীয় অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৩রা জুলাই) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মহাপরিকল্পনাটি জাইকার কারিগরি সহায়তায় করা হচ্ছে।

টেকসই উন্নয়নকে লক্ষ্য রেখে পূর্বের মহাপরিকল্পনা পর্যালোচনা, ২০৫০ পর্যন্ত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ চাহিদা, প্রাথমিক জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ, জ্বালানি সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা, ২০৫০ পর্যন্ত জ্বালানির চাহিদা ও সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে ‘ন্যাশনালিটি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশান (এনডিসি) হালনাগাদ, সর্বপরি সকলের সাথে আলোচনা করে সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে।

‘ইকোনমি এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’ এর সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়টি সংযুক্ত করে সুষম উন্নয়ন করতেই এ মহাপরিকল্পনা। ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন ইমিশন নেট জিরো করার নিদর্শনাও এখানে থাকবে বলে আলোচনায় উঠে আসে।

সভায় জ্বালানির চাহিদা নিরূপণে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জ্বালানির মূল্য বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির উন্নয়ন নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রেসহ জ্বালানি হিসেবে এমোনিয়া, ২০৩৫ সালের মধ্যে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রেসহ জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন ব্যবহৃত হবে বা বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ চেইন পুনঃপরীক্ষা করা উচিত। কৃষিতে সার ও জ্বালানির ব্যবহারে কৃচ্ছ্রতা, পরিবহন খাতে, শিল্প বা আবাসিকে জ্বালানি তেলের সাশ্রয়ী ব্যবহার আমাদের জন্য কল্যাণকর।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জ্বালানির মূল্য ক্রমবর্ধমান। এজন্য ইউরোপ এখন কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে যাচ্ছে। আমাদের কার্বন ইমিশন খুবই কম। আমাদের ফুয়েল মিক্সে সাশ্রয়ী মূল্যের জ্বালানির অংশ বাড়ানো যেতে পারে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্ভাবনের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। এই উদ্ভাবনাই সাফল্যের চাবিকাঠি। আমাদের থ্রি হুইলার এক সময় হয়তো জ্বালানি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার ল্যান্ডমার্ক হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাকি, জাইকার বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি হায়াকায়া ইউহো ও জাইকা স্টাডি টীমের প্রধান ইচিরো কুতানি।