জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের যাত্রা শুরু
জ্বালানি ও বিদ্যুৎ বিষয়ে গবেষণা কাউন্সিল যাত্রা শুরু করল। বাংলাদেশ এনার্জি এন্ড পাওয়ার রিসার্চ কাউন্সিল (বিইপিআরও) নামে এই গবেষণা কাউন্সিল এই খাতের উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গবেষণা করবে।
মঙ্গলবার বিদ্যুৎ ভবনে ‘বাংলাদেশ এনার্জি এন্ড পাওয়ার রিসার্চ কাউন্সিল: প্রাথমিক সংলাপ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় কাউন্সিলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
জ্বালানি বিভাগের সচিব মো. আবুবকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, অতিরিক্ত সচিব তাপস কুমার রায়, পাওয়ার সেল এর মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসেইনসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
উপদেষ্টা বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির যাবতীয় বিষয় গবেষণা করাই হবে কাউন্সিলের কাজ। সংকট মোকাবিলা করা, সমাধান দেয়া, পরামর্শ দেয়ার ক্ষেত্রেও অনেক সময় গবেষণার প্রয়োজন হয়। সবার সহযোগিতার মাধ্যমেই এই কাউন্সিলের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই কাউন্সিলের লক্ষ হবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ভবিষ্যতে বিদ্যুতের চাহিদা যেমন বাড়বে তেমনি বাড়বে জ্বালানির চাহিদাও। এই চাহিদা কিভাবে পুরণ করা যাবে এ বিষয়ে গবেষণা হওয়া দরকার। তিনি বলেন, অভিজ্ঞদের পাশাপাশি তরুণদের এই গবেষণায় যুক্ত করতে হবে। কাউন্সিল যত দ্রুত কাজ শুরু করবে তত দ্রুত গবেষণার কাজও শুরু করা যাবে।
জ্বালানি সচিব বলেন, গবেষণার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের নিয়ে একটি সুনির্দিষ্ট বিষয় নির্বাচন করে কাজ করা হবে। বর্তমানে প্রতিদিন ৬০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি আছে। উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু সাথে সাথে চাহিদাও বেড়েছে। ফলে ঘাটতি পূরণ হচ্ছে না। গ্যাস উৎপাদনের ৬২ ভাগ বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করা হচ্ছে। গ্যাস উৎপাদন বাড়লেও চাহিদা বাড়ছে। এই বাড়তি চাহিদা কিভাবে পুরণ করা যায় তা কাউন্সিল গবেষণা করতে পারে। এছাড়া কয়লার উন্নয়নের বিষয়ে গবেষণা হওয়া উচিত।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ড. আহমদ কায়কাউসকে চেয়ারম্যান এবং বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব মো: ফারুকুজ্জামানকে কাউন্সিলের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এখনও কাউন্সিলের সদস্য ঠিক হয়নি। কাউন্সিলে চারজন স্থায়ী সদস্য থাকবেন। এরমধ্যে একজন যুগ্মসচিব ও একজন উপসচিব থাকবেন। খুব শিগগির কাউন্সিলের জন্য একটি অফিস নেয়া হবে। তবে ভবিষ্যতে এই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ বিভাগের মন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী অথবা প্রতিমন্ত্রীকে করা হতে পারে।