জ্বালানি খাতের নয় কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৯টি কোম্পানির মধ্যে নয়টি কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে। মোট ৪৭ দশমিক ৩৬ ভাগ কোম্পানির আগের তুলনায় মুনাফা বেড়েছে।

এপ্রিল ও মে মাসে প্রকাশিত ১৫টি কোম্পানির বিভিন্ন প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এই চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১১টি কোম্পানি তৃতীয় প্রান্তিকের মুনাফা প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে পাঁচ কোম্পানির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়েছে, চারটির কমেছে ও দুটি লোকসান করেছে। প্রথম প্রান্তিকের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে চার কোম্পানি, যার মধ্যে সবগুলোরই ইপিএস বেড়েছে।

চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে বারাকা পাওয়ারের ইপিএস আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭৮ পয়সা, নয় মাসে ১৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২ টাকা ৩৯ পয়সা। ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসের ইপিএস তৃতীয় প্রান্তিকে আগের বছরের তুলনায় ২১ গুণ বেড়ে ১৬ টাকা ০৯ পয়সা হয়েছে। আর নয় মাসে ১০৬৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৬ টাকা ৭৫ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে যমুনা অয়েলের ইপিএস আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩ টাকা ০৪ পয়সা, নয় মাসে ইপিএস ১২ শতাংশ কমে হয়েছে ১১ টাকা ৪২ পয়সা।
মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ইপিএস তৃতীয় প্রান্তিকের ৩৯ দশমিক ০৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪ টাকা ৭৯ পয়সা হয়েছে, আর ৯ মাসে ইপিএস এক দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৩ টাকা ২৮ পয়সা।

এই সময়ে পদ্মা অয়েলের ইপিএস ২৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩ টাকা ৮০ পয়সা হয়েছে। তবে নয় মাসে ইপিএস ৬ শতাংশ কমে হয়েছে ১১ টাকা ৩০ পয়সা হয়েছে। প্রথম প্রাান্তিকে জিবিবি পাওয়ারের ইপিএস বেড়েছে ১৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩৫ পয়সা । এই সময়ে ইউনাইটেড পাওয়ারের ইপিএস ৩৯ শতাংশ বেড়ে ৩ টাকা ০২ পয়সা হয়েছে । লিন্ডে বাংলাদেশের প্রথম প্রাান্তিকে ইপিএস ৭২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৬ টাকা ৭৪ পয়সা। এই সময়ে এমজেএল বাংলাদেশের ইপিএস ১১৩ শতাংশ বেড়ে এক টাকা ৫১ পয়সা হয়েছে।

অন্যদিকে তৃতীয় প্রান্তিকে সিভিও পেট্রোকেমিকেলের ইপিএস আগের বছরের তুলনায় ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ কমে হয়েছে এক টাকা ২৩ পয়সা হয়েছে। তবে ৯ মাসে ইপিএস ৭২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭ টাকা ১২ পয়সা হয়েছে। এই সময়ে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের ইপিএস ১০ শতাংশ কমে ৬৫ পয়সায় নেমেছে। আর ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে একটাকা ৯৫ পয়সা। আগের বছরে এ সময় কোম্পানির লোকসান ছিল ১১ পয়সা । শাহজিবাজার পাওয়ারের ইপিএস ৩৫ শতাংশ কমে হয়েছে একটাকা ২৬ পয়সায় নেমেছে; নয় মাসে ৪২ শতাংশ কমে ৩ টাকা ৫৯ পয়সা।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের ইপিএস ৪৯ শতাংশ কমে ৯৬ পয়সায় নেমেছে, আর ৯ মাসে ইপিএস ৫৪ শতাংশ কমে ২ টাকা ৮৫ পয়সায় নেমেছে।

এছাড়া তৃতীয় প্রান্তিকে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২৪ পয়সা, তবে নয় মাসে ৬১ শতাংশ কমে হয়েছে ২ টাকা ৯০ পয়সা।

এই সময়ে ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড সিস্টেমের লিমিটেডের লোকসান হয়েছে ৯ পয়সা, নয় মাসে ইপিএস ৬৯ শতাংশ কমে হয়েছে একটাকা ৭৯ পয়সা।