জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশে জ্বালানি খাতে আরও বিনিয়োগ বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। গভীর সমুদ্রের খনিজ অনুসন্ধান এবং পায়রাতে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনে আগ্রহী তারা।
বুধবার (৩০শে আগস্ট) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল প্রতিনিধিদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়। এসময় তারা যৌথভাবে বিনিয়োগের আগ্রহের কথা জানায়।
এসময় শেভরন বাংলাদেশ, এক্সোন মবিল, জিই, এইচএসবিসি, মাস্টারকার্ড, প্রাভা হেলথ, স্ট্যান্ডার্ড চ্যাটার্ড, ভিসা, বোয়িং, মেটা, মেটলাইফ, উবার, ব্ল্যাকস্টোনসহ বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা ছিলেন।
বৈঠক শেষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ থাকায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে মার্কিন কোম্পানিগুলোর আগ্রহ উত্তরোত্তর বাড়ছে। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সঞ্চালন, স্মার্ট গ্রীড নির্মাণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আধুনিক প্রযুক্তি স্থাপন, নাবায়ণযোগ্য জ্বালানি, বায়ুবিদ্যুৎ, লিথিয়াম ব্যাটারী কারখানা স্থাপন, সাইবার সিকিউরিটি, তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান প্রভৃতি খাতে বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। প্রযুক্তি, অর্থায়ণ ও অংশীদারিত্ব পেলে বায়ু-ফুয়েল নিয়েও একসাথে কাজ করা যাবে। তিনি বলেন, ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল খাতেও বিনিয়োগ আসতে পারে। চার্জিং স্টেশন বা চার্জিং নীতিমালা করা হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের চ্যালেঞ্জ নিয়ে সরকার কাজ করছে। আগামী ১৫ বৎসরে বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ৭৫ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।
ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রদূত অতুল কেশপ বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে খুবই আগ্রহ দেখাচ্ছে। গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান সম্ভব। বৈশ্বিক পরিস্থিতিরি কারণে তেল-গ্যাসের মূল্য উত্তরোত্তর বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো সরকারের সাথে কাজ করতে চায়। ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার প্রতিফলন, পারস্পারিক প্রতিশ্রুতি ও অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে পারলে উভয় পক্ষই লাভবান হবে।
এসময় পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিনা খাতুন, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরী, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, এক্সিলারেট এনার্জির চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ইস্টিভেন কোবস, ব্ল্যাকস্টোনের এমডি আনান্দ ঝা, এক্সোনমবিল এর নতুন অপরচ্যুনিটি ম্যানেজার জনাথন উইলসন, করটোভা’র গভ. এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এ্যাফেয়ার ডিরেকটর আনুজা কাদিয়ান, এইচএসবিসি’র হেড অফ মাল্টিন্যাশনাল আন্দালিভ মির্জা ও দক্ষিন এশিয়ার ইউ.এস গ্রেইন্স কাউন্সিলের পরিচালক রিসি কানাডি উপস্থিত ছিলেন।