জ্বালানি চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন ১৬ বিলিয়ন ডলার
আগামী দিনের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে বছরে ১৬ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে। জ্বালানি আমদানি করতেই এই অর্থ খরচ করতে হবে। এই উচ্চমূল্য দিয়ে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বর্তমান সময়ের বড় চ্যালেঞ্জ।
শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তারা একথা বলেন। বক্তারা বলেন, এলএনজি আমদানি করে বর্তমান সময়ের চাহিদা মেটাতে হবে। দেশের মধ্যে বেশি গ্যাস পাওয়া গেলে ভবিষ্যতে আমদানি বন্ধ করা যাবে। তবে এলএনজি আমদানি করলে যে খরচ হবে তা দেয়া সম্ভব হবে কিনা তা এখনই ভাবতে হবে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত¡ বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম, জ্বালানি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহমদ, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক ইমাদ উদ্দিনসহ অন্যরা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিদ্ধান্তহীনতার কারণে জ্বালানিখাতে কাক্সিখত লক্ষে পৌছানো যায়নি। জ্বালানির অভাবে শিল্পে যথাযথ বিনিয়োগ হচ্ছে না। প্রায় দুই হাজার শিল্প অপেক্ষমান আছে গ্যাসের জন্য। এই সকলের চাহিদা মেটাতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য আমদানি করা কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এগ্রেসিভ সিদ্ধান্ত না নিতে পারলে হবে না। জ্বালানি তেলের দাম কমে যাচ্ছে। বিশ্ব বাজারে গ্যাসের দামও কমে যাচ্ছে। এজন্য এই খাতে বিনিয়োগ কম। ১১, ১৬ ও ২১ নম্বর ব্লক নিয়ে আলোচনা চলছে। স্ট্যাট ওয়েল কে দিয়ে সেখানে কাজ করানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
বদরুল ইমাম তার বক্তৃতায় বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। জ্বালানির ব্যাপ্তি এখন অনেক বড়। চাহিদা মেটাতে গেলে যে বিনিয়োগ প্রয়োজন তা কোথা থেকে আসবে তা এখনই নিশ্চিত করতে হবে।
সেমিনারে মেঘনা পেট্রোলিয়াম কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শরীফ আশরাফউদ্দিন ও পেট্রোবাংলার কর্মকর্তা আনোয়ার আজিম দুটি আলাদা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
তবে দেশের মধ্যে জ্বালানি পাওয়া গেলে এই অর্থ প্রয়োজন হবে না।