জ্বালানি তেলের দাম নিম্নমুখী

বিশ্ব বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেড়ে গেছে জ্বালানি তেলের। এ কারণে গত কয়েক দিন থেকে কমছে তেলের দাম। বুধবার দৈনন্দিন কেনাবেচার এক পর্যায়ে তা তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যায়। তবে ব্রেন্ট ক্রুড কেনাবেচায় দিনের পরের ভাগে দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে ব্যারেল প্রতি ৮৫ ডলারে হাতবদল হয়।
জ্বালানি তেলের বাজারে সরবরাহ বেশি থাকায় মঙ্গলবারের চেয়ে বুধবার ৪ ডলার কমে যায়, যা ২০১০ সালের শেষের দিকের চেয়েও কম।
মূলত চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে গত মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক এনার্জি এজেন্সি চলতি বছরে তেলের চাহিদা কমে যাওয়ার নতুন পূর্বাভাস দেয়ার পর তেলের দাম কমে যাওয়ার পেছনে তা ভূমিকা রেখেছে। বিশ্ব অর্থনীতির গতি ঝিমিয়ে পড়ায় ও প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার আশংকায় তেলের চাহিদা কমতে শুরু করেছে। দৈনন্দিন লেনদেনের পাশাপাশি ভবিষ্যতে সরবরাহ করা হবে এমন ক্ষেত্রে তেলের দাম কমছে। গত জুন থেকে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম কমেছে প্রায় ৩০ ডলার।
শুধু যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপের বাজারে নয়, এশীয় লেনদেনেও তেলের দাম গত কয়েক দিন ধরে কমেছে। তবে বুধবার দাম কিছুটা বেড়েছে। নভেম্বরে সরবরাহ করা হবে এমন তেলের দাম গতকাল ২৬ সেন্ট বেড়ে ৮৫ দশমিক ৩০ ডলার হয়েছে। আর এর আগে বেলায় তা ৮৫ ডলারের নিচে নেমে যায়, যা ২০১০ সালের শেষের দিকের চেয়ে সর্বনিম্ন। ইউএস ক্রুড ২০ সেন্ট বেড়ে ৮২ দশমিক ০৪ ডলারে বিক্রি হয়েছে। এর আগে বেলায় তা দুই বছরের মধ্যে কমে গিয়েছিল। খবর রয়টার্স।