জ্বালানি তেলের দাম পুননির্ধারণ সরকারের বিবেচনায়
জ্বালানি তেলের দাম পুননির্ধারণের বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় আছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর (পিরোজপুর-৩) টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রীও টেবিলে তার উত্তর উত্থাপন করেন।
নসরুল হামিদ লিখিত উত্তরে বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে তুলনা করে মূল্য নির্ধারণের জন্য একটি নীতিমালা নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো এ ধরনের পদ্ধতি আরোপের আগে এই বিষয়ে অন্যান্য সম্পূরক প্রভাবগুলো আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে লাভের মুখ দেখতে শুরু করে বিপিসি। ঘাটতি পূরণের জন্য ২০১৪-১৫ অর্থবছরে পাঁচ হাজার ২৬৮ কোটি আট লাখ টাকা এবং চলতি অর্থবছরের (২০১৫-১৬) জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৮১০ কোটি ৬৭ লাখ টাকাসহ মোট ১১ হাজার ৭৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকার দেনা শোধ করা হয়েছে। এছাড়া পেট্রোবাংলাকে ৪৯৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা শোধের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। এ অর্থ বাদে বাকি টাকা বিপিসির ব্যাংক হিসাবে স্থিতি হিসেবে রয়েছে। জ্বালানি তেলের মূল্য পরিবর্তনের সময় প্রধান পণ্যগুলোর প্রত্যেকটির পরিবর্তন করা হয়। কারণ প্রত্যেকটি জ্বালানি পণ্য পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। তাই পরিবর্তন করা হলে কেরোসিন, ডিজেল, ফার্নেস তেল, অকটেন ইত্যাদির মূল্য একই সঙ্গে পরিবর্তন করা হবে।