জ্বালানি তেলের শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব
জ্বালানি তেলের শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অথমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতায় তিনি এই প্রস্তাব করেন। একই সাথে জ্বালানি তেল আমদানরি উপর শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। অশোধিত এবং পরিশোধিত উভয় তেলের উপর শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে করে জ্বালানি তেল আমদানি খরচ বেড়ে যাবে।
সংশ্লিষ্ঠরা জানিয়েছেন, জ্বালানি তেলের উপর শুল্ক বাড়ানোর ফলে সরকারকে এখাতে হয় ভতূকি বাড়াতে হবে না হয় জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে হবে। এতে সরকারের আয় বেশি হবে। কিন্তু ভতূকি না দিলে সাধারণ মানুষের খরচ বাড়বে।
প্রস্তাবিত শুল্কহারে বলা হয়েছে, আমদানি করা জ্বালানি তেলের শুল্ক গত ১০ বছর একই আছে। কোন পর্রিবতন করা হয়নি। নতুন করে অশোধিত জ্বালানি তেলে ব্যারলে প্রতি ৩২ ডলার বা দুই হাজার ৫৬০ টাকা থকেে বাড়িয়ে ৪০ ডলার বা তিন হাজার ২০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া পরিশোধিত তেলে লিটার প্রতি ৩১ সেন্ট বা ২৪ টাকা আট পয়সা থকেে বাড়িয়ে ৪০ সেন্ট বা ৩২ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
ব্যারলে প্রতি পরিশোধিত জ্বালানি তেল ১২০ ডলারে কেনা হয়। বিপিসি ডিজেলে লিটার প্রতি ছয় থেকে সাত টাকা লোকসান দিচ্ছে। সরকারকে সাত টাকার উপরে প্রতি লিটারে বিভিন্ন ধরনের শুল্কও দেয় বিপিসি।