জ্বালানি তেলের দাম সরকার ৫-১০ টাকা কমাতে পারে: সিপিডি

জ্বালানি তেলের দাম সরকার ৫-১০ টাকা কমাতে পারে: সিপিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক/ বিডিনিউজ:
বাংলাদেশের অর্থনীতি সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে ‘সবচেয়ে খারাপ’ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে সিপিডি আগামী বাজেটে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষার পরিকল্পনা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকারকে।

রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারেও এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।

শনিবার ঢাকায় সিপিডির কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০২২-২৩: তৃতীয় অন্তর্বর্তীমূলক পর্যালোচনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, অর্থনীতিতে এখন যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তা গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আগামী অর্থবছরে অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও কাজ।

সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করে জ্বালানি তেলের (অকটেন, পেট্টোল, ডিজেল) দাম গ্রাহক পর্যায়ে ৫ থেকে ১০ টাকা কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো তৌফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) প্রতি লিটার ডিজেলে ৫ টাকা এবং প্রতি লিটার অকটেনে ১৩ টাকা মুনাফা করে। এ বছর লোকসান দিলেও আগের বছরগুলোতে লাভ করেছে ৪৮ হাজার কোটি টাকা।

ভারতের মতো দর সমন্বয় করলে জ্বালানির দর ৫ থেকে ১০ টাকা কমে যাবে বলেও মনে করেন প্রতিষ্ঠানের সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।

গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, জ্বালানিতে ভর্তুকি কমানো মানেই ভোক্তার উপর মূল্য বাড়িয়ে দেওয়া। অথচ বেসরকারি খাতকে বছরের পর বছর ক্যাপাসিটি চার্জের নামে অর্থ দেওয়া হয়েছে, তা বন্ধ করতে হবে। ‘নো ইলেকট্রিসি নো পে’’ পদ্ধতিতে যেতে হবে।

অধ্যাপক মোস্তাফিজুর বলেন, অর্থনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপটে আগামী বাজেটের মূল দর্শন হওয়া উচিত অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুণরুদ্ধার ও বিভিন্ন বন্টনের ন্যায্যতা নিশ্চিত করা।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, আমাদের অর্থনীতি বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ বেশ কিছু সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। স্বস্তিদায়ক যে অথর্নীতি ছিল তা এখন আর নেই।

সমস্যাকে চিহ্নিত করা ও সঠিক নীতিমালার মাধ্যমে এর সমাধান করা না গেলে সংকট বাড়বে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘‘এজন্য আগামী বাজেটে পদক্ষেপ থাকতে হবে। ভর্তুকি ব্যবস্থাপনার নীতি ঠিক করে কোথায় কোথায় দিব তা ধাপে ধাপে ঠিক করা। খাদ্য নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কৃষিতে ভর্তুকি দিতে হবে।

‘‘প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যে কর ছাড় দেওয়া হচ্ছে তা এখন কঠিন প্রশাসনিক পদক্ষেপের মাধ্যমে এখনই বন্ধ করতে হবে।’’