জ্বালানি তেলের দাম ৪০ ডলারে নেমেছে
বিশ্ববাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৪০ ডলারে নেমে এসেছে। ২০০৯ সালের মার্চের পর এই প্রথম জ্বালানি তেলের দাম এ পর্যায়ে নেমে এল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাজার ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটে (ডব্লিউটিআই) শুক্রবার প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৩৯ ডলার ৮৬ সেন্টে নেমে আসে। দিন শেষে এর দাম ৪০ ডলার ৪৫ সেন্টে উঠলেও বহুজাতিক মার্কিন ব্যাংক সিটিব্যাংক বলছে, ডব্লিউটিআইয়ে তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৩২ ডলারে নেমে যেতে পারে।
জ্বালানি তেলের দাম গত এক বছরে যে হারে কমেছে, ১৯৮৬ সালের পর তেমনটা আর দেখা যায়নি। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের জুনের পর দেড় মাসের বেশি সময়ে তেলের দাম কমেছে প্রায় ৩৫ শতাংশ।
ইউরোপভিত্তিক তেলের বাজারে ব্রেন্ট ক্রুডের দামও ২০০৯ সালের মার্চের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। শুক্রবার প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড বিক্রি হয়েছে ৪৫ ডলার ৪৬ সেন্টে।
জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংগঠন ওপেক সদস্যদেশগুলোও তেলের দৈনিক উৎপাদন না কমানোর সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। গত এক বছরে ওপেকভুক্ত দেশগুলো বিশ্ববাজারে দৈনিক হিসাবে জ্বালানি তেলের সরবরাহ বাড়িয়েছে প্রায় তিন কোটি ব্যারেল।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) জ্বালানি তেলের মূল্য পূর্বাভাসে বলছে, চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ বেশি হওয়ায় জ্বালানি তেলের দাম ২০১৬ সাল পর্যন্ত পড়তির দিকে থাকবে।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার এক বছর পার হলেও দেশে এখনো দাম কমেনি। তেলের দাম না কমানোর যুক্তি হিসেবে সরকার বলছে, আগের ভর্তুকির কারণে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার লোকসান সমন্বয় করতে হলে আরও কিছু সময় দরকার।