জ্বালানি তেলের পাইপ করতে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ

চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল পর্যন্ত ২৩৮ কিলোমিটার জ্বালানি তেল বহনে পাইপ স্থাপন করা হবে। এজন্য দুই হাজার ৮৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এটা ১৬ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ হবে। ২০২০ সালের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে।বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) এটা করবে।

মঙ্গলবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই বরাদ্দর অনুমোদন দেয়া হয়।

একনেক সভার পর পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বর্তমানে নৌ ও সড়ক পথে জ্বালানি তেল পরিবহন করা হয়। কিন্তু জাহাজে তেল আনার সময় অনেক সময় পাইপ দিয়ে চুরি হয়।
পাইপে আনলে সময় ও অর্থ দুই কমবে। তিনি বলেন, ঢাকা এবং আশপাশের এলাকায় বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রায় ১৫ লাখ মেট্রিক টন, যা ঢাকায় অবস্থিত গোদনাইল ও ফতুল্লার ডিপোগুলো থেকে সরবরাহ করা হয়।

তেল বিপণন কোম্পানিগুলো প্রায় ২০০ জাহাজ দিয়ে ৯০ শতাংশ জ্বালানি তেল পরিবহন করে।
চাঁদপুরে অবস্থিত বিপণন কোম্পানিগুলোর তিন ডিপোতে জ্বালানি তেলের বর্তমান চাহিদা প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন। চট্টগ্রামের প্রধান স্থাপনা থেকে নৌ পথে গোদনাইল, ফতুল্লা, চাঁদপুরে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়।

এছাড়া ঢাকায় অবস্থিত বিপণন কোম্পানিগুলো উত্তরবঙ্গের বাঘাবাড়ি, চিলমারী ও সাচনাবাজার ডিপোতে জ্বালানি তেল সরবরাহ করে। এই ডিপোগুলোর বর্তমান বার্ষিক চাহিদা প্রায় চার লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের পর দেশের পুরনো বিভিন্ন গ্যাস ফিল্ড থেকে উত্তোলন কমতে থাকবে। দেশে আর কোনো নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কৃত না হলে পেট্রোলিয়াম পণ্যের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।

একনেকে ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার জন্য প্রায় ১০ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।