জ্বালানি নিরাপত্তায় সময়োপযোগী কর্ম পরিকল্পনা করতে হবে
জ্বালানির সাশ্রয় বাড়াতে জ্বালানি নিরাপত্তার অধিক্ষেত্র বাড়ানো হবে। মহাপরিকল্পনায়ই শুধু না রেখে দক্ষ জ্বালানি ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য সময়োপযোগি কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে হবে।
বুধবার টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা)-এর সম্মেলন কক্ষে `স্টেকহোল্ডার ভেলডেশন ওয়ার্কশপ অন ন্যাশনাল এনার্জি অডিট রেগুলেশন’ শীর্ষক কর্মশালায়
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আর্কিটেকচার, রাজউক, চেম্বার বডি বা বিজিএমইএ কে জ্বালানির সাশ্রয় ও দক্ষ ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করার উদ্যোগ স্রেডাকেই নিতে হবে। ২০২০ সালের মধ্যে ১৫ ভাগ ও ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ ভাগ জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায়।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জ্বালানি সাশ্রয়ি যন্ত্রপাতির মূল্য একটু বেশি হলেও চূড়ন্তভাবে মূল্য সাশ্রয়ি। টেকসই উন্নয়নের জন্য জ্বালানি সাশ্রয়কে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি সাশ্রয় করতে পারলে উৎপাদন খরচও কম হবে। ২০২০ সালের মধ্যে ১৫ ভাগ জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব হলে প্রায় ৭ হাজার ৪৮২ গিগাওয়াট-আওয়ার বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে যা ২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি পাওয়ার প্ল্যান্টে প্রায় এক বছর উৎপাদিত বিদ্যুতের সময়।
বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, জ্বালানি নিরীক্ষা করার জন্য বিধিমালা থাকা প্রয়োজন। কর্মশালা থকে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ প্রদান করে নীতিমালাটিকে বাস্তবায়নযোগ্য ও
সময়োপযোগি করার আহ্বান জানান।
স্রেডার সদস্য সিদ্দিক জোবায়ের তার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে বলেন, শিল্পখাতে ৫৪ ভাগ জ্বালানি ব্যবহৃত হয়। সচেতনভাবে জ্বালানি ব্যবহার করলে এখান থেকে ৩১ ভাগ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য মো. তাজুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।