জ্বালানি পরিবহনে বাংলাদেশ-ভারত সমঝোতা সই
জ্বালানি পরিবহনে বাংলাদেশ ভারত সমঝোতা স্মারক সই করেছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে পররাস্ট্রমন্ত্রনালয়ে উভয়ের মধ্যে এই সমঝোতা সই হয়। ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেড এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের মধ্যে সমঝোতা সই হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই তেল বহন শুরু হবে।
ভারত আসাম থেকে মেঘালয় হয়ে বাংলাদেশের উপর দিয়ে ত্রিপুরায় জ্বালানি তেল পরিবহন করবে। ডাউকি বন্দর দিয়ে এই লরি বাংলাদেশে ঢুকবে। বাংলাদেশের ১৪০ কিলোমিটার রাস্তা ব্যবহার হবে। ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসে আসাম থেকে ত্রিপুরার রাস্তা (এনএইচ ৪৪) নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এজন্য বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারত তেল পরিবহনে এই সমঝোতা করেছে। মানবিক কারণে বাংলাদেশ এই সুবিধা দিয়েছে। সমঝোতা অনুযায়ি, বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৮০টি লরিতে ডিজেল, কেরোসিন, তরলীকৃত পেট্রলিয়াম গ্যাসসহ জ্বালানি পরিবহন করবে ভারত। এ জন্য প্রতি কিলোমিটার প্রতি টন জ্বালানিতে এক টাকা দুই টাকা হারে মাশুল দেবে ভারত।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই পথ ব্যবহারের সমঝোতা হয়েছে। এর চেয়ে বেশি দিন পথ ব্যবহার করলে আবার চুক্তি করতে হবে। লরিগুলো তামাবিল সিলেট বাইপাস-ফেঞ্চুগঞ্জ-রাজনগর-মৌলভীবাজার-শমসেরনগর-চাতলাপুর পথ দিয়ে ত্রিপুরার কৈলাস্বরে যাবে। ত্রিপুরায় জ্বালানি তেল পরিবহনের পর খালি লরিগুলো বাংলাদেশের চাতলাপুর চেকপোস্ট দিয়ে ঢুকে একই পথ ব্যবহার করে ভারতে ফিরে যাবে। সড়ক জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও আইওসিএলের নির্বাহী পরিচালক সমঝোতা চুক্তি সই করেন।