জ্বালানি বিভাগের সব কোম্পানিতে অনিয়মের তদন্ত শুরু

জ্বালানি বিভাগের সব কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানে অনিয়মের তদন্ত শুরু হয়েছে। কোম্পানিগুলো তাদের বিভিন্ন প্রকল্প ও কেনাকাটা পর্যবেক্ষণ শুরু করছে। গত প্রায় বিশ বছরের হিসাব পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান সকল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এই তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে পেট্রোবাংলা সূত্র জানিয়েছে।

পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, জ্বালানি বিভাগ থেকে নির্দেশনা পেয়ে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রনালয় সূত্র জানায়, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ঘটনার পর সকল কোম্পানির হিসাব পর্যালোচনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে যেসব কোম্পানির বড় বড় প্রকল্প আছে। প্রত্যেক কোম্পানি তাদের নিজস্ব অবস্থান থেকে হিসাব পর্যালোচনা করবে।

এই পর্যালোচনার অংশ হিসাবেই মধ্যপাড়ায় পাথরের হিসাবে গড়মিল পাওয়া গেছে। কয়লার মত সেখানেও পাথরের হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কয়লার মত পাথর ‌’উড়ে’ গেছে না বলে বলা হচ্ছে মাটিতে দেবে গেছে।

নিজস্ব হিসাব পর্যালোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রীয় তেল গ্যাস অনুসন্ধানকারী কোম্পানি বাপেক্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম রুহুল ইসলাম চৌধুরী এনার্জি বাংলাকে বলেন, আমরা নিজস্বভাবে হিসাব পর্যালোচনা করছি। গ্যাস ক্ষেত্রগুলোতে কতটা কনডেনসেট উঠছে। আর কতটা বিক্রি হচ্ছে তার হিসাব যথাযথ আছে কিনা তা দেখা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ের হিসাবও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। রিগ কেনা, কনন কাজ ইত্যাদি বিষয়ের হিসাবও পর্যালোচনা করা হবে বলে তিনি জানান। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই পর্যালোচনা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

বড়পুকুরিয়া খনির ‘কয়লা উধাও’ ঘটনায় এখনও তদন্ত চলছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের কর্মকর্তাসহ নতুন তদন্ত কমিটি বড়পুকুরিয়া খনি পরিদর্শন করেছেন।দুদকের প্রতিনিধি দলও সোমবার খনি পরিদর্শন করেছেন। এদিকে সোমবার পাথর উধাও ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। বড়পুকুরিয়া খনিতে এক লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা আর মধ্যপাড়া খনিতে তিন লাখ ৬০ হাজার টন পাথরের হিসাব নেই।