জ্বালানি সাশ্রয়ী ব্যবহার বাড়াতে প্রয়োজন ব্যাপক সচেতনতা
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি সাশ্রয়ী ব্যবহার বাড়াতে প্রয়োজন ব্যাপক জনসচেতনতা। স্কুল-কলেজ থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ী ব্যবহার সম্পর্কে আগ্রহী করে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিতে হবে। প্রয়োজনে পাঠ্য পুস্তকে সাশ্রয়ী জ্বালানি ও জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার অর্ন্তভুক্ত করার পক্ষে তিনি মত দেন।
শনিবার ঢাকায় টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ডেইলি স্টার সম্মেলনকক্ষে ‘জ্বালানি নিরাপত্তায় নবায়নযোগ্য এবং জ্বালানির সাশ্রয় ও সংরক্ষণ’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৈঠকে বক্তারা বৈশিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের আগামীর জ্বালানি নিয়ে আলোচনা করেন। তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানির মূল্যে, জ্বালানি উপকরণের উপর কর, জ্বালানি অডিট, স্মাট গ্রিড, নবায়নযোগ্য জ্বালানির পোর্ট ফলিও, পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি ও তার যোগান, নন গ্রীড জ্বালানির বিতরণ ইত্যাদি নিয়ে পর্যালোচনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক সহযোগীতার মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমাদের নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে। নেপাল বা ভুটান হতে জল বিদ্যুৎ আমাদানি করলে তার অপরচুনিটি কষ্ট, উৎপাদন করার চেয়ে অনেক বেশি। গ্রীন গ্রীড এ্যালাইন্স- এর মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এক দেশ থেকে অন্য দেশে দেয়ার বিষয়টি আলোচনা চলছে। এটা করা গেলে সাহারা, গোবি বা রাজস্থান মরুভূমির সৌর বিদ্যুৎ পাওয়া যেতে পারে। যাই হোক, সাশ্রয়ি মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ আমরা জনগণকে দিবো এবং এ লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিতরণ ও সঞ্চালন ব্যবস্থা আধুনিকায়নের সাথে সাথে সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।