টঙ্গীর ঘটনায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন শ্রমিকেরা
গাজীপুরের টঙ্গীতে টাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেডে বিস্ফোরণের জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে বিক্ষোভ করেছেন কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা। একই সঙ্গে মালিকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার এবং কারখানাকে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
শনিবার সকালে কারখানার পাশে টঙ্গী-ঘোড়াশাল সড়কের আহসান উল্লাহ মাস্টার উড়ালসেতুর নিচে এ মানববন্ধন হয়।
‘টাম্পাকো পুড়লো কেন, তিতাস গ্যাস জবাব চাই; ‘টাম্পাকো পরিবার বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চাই’; ‘টাম্পাকো বাঁচলে টাম্পাকো পরিবার বাঁচবে’; ‘সুখে ছিলাম, দুঃখে আছি, আমরা টাম্পাকোকে ভালোবাসি’; ‘টাম্পাকোর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই, করতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগানসংবলিত ব্যানার নিয়ে কারখানার শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী মানববন্ধনে অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, কারখানার গ্যাসলাইনের ছিদ্রপথে গ্যাস নির্গত হওয়ার ঘটনার চার দিন আগে থেকে কারখানা কর্তৃপক্ষ তিতাসকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ থেকেই পরবর্তী সময়ে বিস্ফোরণ হয়ে ভবনধস ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এর জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষই দায়ী। তাদের বিচার হওয়া উচিত। কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা হোক।
তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মীর মশিউর রহমান বলেন, টাম্পাকোতে বিস্ফোরণের পর থেকেই ঘটনাস্থলে তিতাসের স্থানীয় কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষণে আছেন। বৃহস্পতিবার তিনি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, গ্যাসের লাইনে ছিদ্র ছিল, এমন কোনো অভিযোগ কেউ করেনি।
১০ সেপ্টেম্বর শনিবার টঙ্গী বিসিক শিল্পনগরীতে অবস্থিত টাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেড নামের ওই কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। ধসে পড়ে পাঁচতলা কারখানা ভবন এবং পাশের দুটি তিনতলা ভবন। এই কারখানায় অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপার তৈরি হতো। ভয়াবহ এই বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে ৩৪ জনের। আর নিখোঁজ রয়েছেন ১০ জন।