ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানোর সুপারিশ সিপিডির
ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানো উচিত। দাম কমালে গরিব মানুষ লাভবান হবে।
আগামী অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন ও চলতি বছরের অথনৈতিক বিশ্লেষণ করে এই সুপারিশ করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
আজ রোববার মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে সাংবাদিক সম্মেলনে এই সুপারিশ করা হয়।
সিপিডির গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, জ্বালানি তেলের দাম কমাতে হবে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে এটা বিশ্ব বাজারে কম থাকলেও আমাদের এখানে কমছে না।
সাংবাদিক সম্মেলনে বাজেট বাস্তবায়নের দুর্বলতা কাটাতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানোসহ পাঁচটা সুপারিশ করেছে সিপিডি। এছাড়া রপ্তানি ও প্রবাসী আয় খাতকে সুবিধা দিতে স্বল্প মেয়াদে টাকার মূল্যমান কমানো, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো, চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা দূর করতে স্বাধীন আর্থিক খাত সংস্থার কমিশন গঠন করার সুপারিশ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাজেটের আকার বড় হলেও তা বাস্তবায়নের সক্ষমতা বাড়ছে না। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সম্প্রসারণশীল বা বড় বাজেট নেয়ার অবস্থা আছে। তবে বড় বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা বাড়াতে বড় বড় নীতি সংস্কার করতে হবে।
মূল প্রবন্ধে তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, “সরকার সবসময় একটা বড় বাজেটের কথা বলেন, সরকারি ব্যয় ও আয়ের কথা বলেন। আমরা তা পূর্ণভাবে সমর্থন করি।”
সিপিডির সাবেক নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা সম্প্রসারণশীল বাজেটের পক্ষে। আমরা শুনেছি আগামী বাজেট ৪ লাখ ২০০ কোটি টাকার বাজেট হতে পারে, যা মাথা পিছু ২৫ হাজার হাজার টাকা বা ৩০০ ডলার মতো হয়। এটা উন্নয়নশীল বিশ্বের চেয়ে কম।
সাংবাদিক সম্মেলনে নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন , গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।