ডিপিডিসির ভ্রাম্যমাণ বিদ্যুৎসেবা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে গ্র্রাহকের কাছে গিয়ে সেবা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)।
ডিপিডিসি’র ৩৬টি বিতরণ এলাকার প্রতিটিতে এক দিন করে এই সেবা দেওয়া হবে। প্রতিদিন তিনটি এলাকায় ছোট ট্রাকে করে সেবা দেয়া হচ্ছে। গ্রাহকের সমস্যা শুনে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সম্ভব হলে করা হচ্ছে সমাধান।
প্রথম দিন ঢাকার শাহজাহানপুর ও শ্যামলীতেএবং নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় তিনটি ট্রাক দিয়ে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সেবা দিয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ১৮ই মার্চ এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চলবে ৩০শে মার্চ পর্যন্ত।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, আমরা ডিপিডিসির পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ সেবা চালু করেছি। ভ্রাম্যমাণ বিদ্যুৎসেবার মূল উদ্দেশ্য হলো গ্রাহকের দোরগোড়ায় নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্পন্ন বিদ্যুৎসেবা পৌঁছে দেওয়া। সুসজ্জিত তিনটি ভ্রাম্যমাণ ভ্যানের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ডিপিডিসির ৩৬টি এনওসিএস বিভাগে ভ্রাম্যমাণ সেবা দেয়া হবে। এতে গ্রাহকরা তাঁদের প্রাপ্য সেবা তাৎক্ষণিকভাবে পাবে। ভ্রাম্যমাণ সেবায় তাৎক্ষণিকভাবে দেওয়া সম্ভব এমন সব সেবা দেয়া হবে। কেউ নতুন সংযোগের আবেদন করলে আবেদন যাচাই-বাছাই করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারও অভিযোগ থাকলে সেগুলোর সমাধান করা হবে। দালাল ছাড়া যে অনলাইনেই সব সেবা পাওয়া যায় তাও জানানো হবে। একই সঙ্গে ভেন্ডিং মেশিন থাকবে। বিদ্যুৎ বিল সংশোধনসহ মানুষ চাইলে এখান থেকে প্রি-পেইড মিটারে রিচার্জ করতে পারবেন। দুর্ঘটনা সম্পর্কে গ্রাহকদের সচেতন করা হবে।
ঢাকায় এবার গরমে লোডশেডিং হবে না বলে জানিয়েছে বিকাশ দেওয়ান বলেন, ডিপিডিসির অধীন এলাকায় এবার গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা থাকবে এক হাজার ৯০০ মেগাওয়াট। যার পুরোটাই সরবরাহ করা যাবে। আগে কিছু জায়গায় বিতরণে দুর্বলতা ছিল। সেগুলোর সমাধান হওয়ায় এবার লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা পোহাতে হবে না নগরবাসীকে।