জেলা প্রশাসকরা চায় গ্যাস-বিদ্যুৎ

নতুন গ্যাস সংযোগ আর বিদ্যুৎ চায় জেলা প্রশাসকরা। অন্যদিকে বিদ্যুৎকেন্দ্র, গ্যাস স্থাপনা ও তেলের ডিপোতে নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাদের। পাশাপাশি বিদেশি নাগরিকসহ সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত অধিবেশনে এই বিষয়গুলো উঠে আসে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী উপস্থিত ছিলেন।
নিরাপত্তা বিবেচনায় স্পর্শকাতর হওয়ায় রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প ও মহেশখালি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য আলাদা থানা গঠনেরও প্রস্তাব করে ডিসিরা।
বৈঠক সূত্র জানায়, নেত্রকোনার বিসিক শিল্প নগরীতে স্থাপিত শিল্প কারখানার জন্য গ্যাস সংযোগ প্রয়োজন বলে জানায় নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক। এ বিষয়ে জ্বালানি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্যাস সররবারহের অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। এজন্য বিসিকের কাছে অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।  অর্থ দিলেই নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ভোলা জেলা প্রশাসক জানান জেলার তজুমদ্দিন ও চরফ্যাশন এলাকায় গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জ্বালানি বিভাগ জানায়, এজন্য জরিপ করা হচ্ছে।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক হাতিয়া উপজেলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভাল করার অনুরোধ করেন। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, সোলার মিনি গ্রিড স্থাপনে কাজ করা হচ্ছে। বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক জানান, পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকে। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক রাঙ্গামাটি জেলায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ লাইন চালুর অনুরোধ করেন।
হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকও শিল্প এলাকায় বিদ্যুৎ দেয়ার অনুরোধ করেন। ময়মসসিংহের জেলা প্রশাসক সৌর বিদ্যুতের প্রসারে গ্রাহক পর্যায়ে ভর্তুকির প্রস্তাব দেন।
জেলা প্রশাসকদের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও লাইন অপাসারণে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভুমি অধিগ্রহণে জেলা প্রশাসকদের সহায়তা চাওয়া হয়। কনডেনসেট চুরি রোধে, জ্বালানি তেলে ভেজাল রোধে এবং খনিজ বালু ও পাথর কোয়ারির ইজারায় যৌক্তিক পদক্ষেপ গ্রহণে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছে জ্বালানি বিভাগ।
এদিকে প্রতিটি জেলায় পরিবেশ রক্ষায় বেশি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে ডিসিদের নির্দেশ দিয়েছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ রোধে ইটভাটা, নিষিদ্ধ পলিথিন, গাড়ির কালো ধোঁয়া, শব্দ দূষণ, পাহাড় কাটা, জলাধার ভরাটের ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে।