ঢাকার গ্রাহকদের বিদ্যুতের দাম ৬.২৪ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব ডিপিডিসির

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) গ্রাহক পর্যায়ে গড়ে ৬.২৪ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন  (বিইআরসি) আয়োজিত গণশুনানিতে এ প্রস্তাব উপস্থাপন করেন ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক গোলাম মোস্তফা।
বিইআরসি চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলামের সভাপতিত্বে সদস্য মিজানুর রহমান, রহমান মুরশেদ, আবদুল আজিজ খান ও মাহমুদ উল হক ভুইয়া উপস্থিত ছিলেন।
ডিপিডিসি প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রতি ইউনিটের সঙ্গে বিতরণ ব্যয় যোগ করলে মূল্য দাঁড়ায়  ৭.৭৫ টাকা। কিন্তু গড়ে তা ৭.৩২ টাকায় বিদ্যুৎ বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি ইউনিটে তাদের লোকসান হচ্ছে দশমিক ৪৩ টাকা। এ কারণে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৫০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
ডিপিডিসি আবাসিকে ৫.৯৯ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। সার্ভিস চার্জ ১ ফেজ ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা এবং ৩ ফেজ ৩০ টাকার স্থলে ৫০ টাকা করার প্রস্তাব করেছে।
ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক গোলাম মোস্তফা তাদের প্রস্তাব তুলে ধরেন। সংস্থাটি আবাসিকে পাঁচ দশমকি ৯৯ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। সার্ভিস চার্জ ১ ফেজ ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা এবং ৩ ফেজ ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা করার আবেদন জানিয়েছে। অন্যান্য শ্রেণীর গ্রাহকদের ক্ষেত্রেও বিদ্যুতের দাম ও সার্ভিস চার্জ বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
বিপরীতে ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম এর তীব্র বিরোধীতা করে বলেন, স্বচ্ছতা নিশ্চিত এবং চুরি ঠেকানো গেলে দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না। তিনি বলেন, ডিপিডিসি অনেক ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরি করে রেখেছে। বড়বড় শপিং মলের এসিতে বসে যারা ব্যবসা করেন তাদের বিল কম। আর ফুটপাতের পান দোকানীর বিদ্যুতের বিল বেশি। এই বৈষম্য দূর হওয়া দরকার। সংস্থাটি বর্তমানে মধ্যম ভোল্টেজ (১১ কেভি) শপিং মলের জন্য ইউনিট প্রতি বিদ্যুৎ বিল ৭.৪৫ টাকা আদায় করা হচ্ছে। আর পান দোকানীর জন্য বাণিজ্যিক রেট ৯.৬৬ টাকা আদায় করছে।
সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, বন্যা পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা সমস্যা, চালে াম বাড়ার কারণে দেশে সঙ্কট কাল চলছে। এমন অবস্থায় বি্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণের ভোগান্তি আরও বাড়ানো কোনোভাবেই যৌক্তিক হবে না।