ঢাকায় শব্দের মানমাত্রা প্রায় দেড়গুণ বেশি
নিয়ম অনুযায়ী শব্দের সর্বোচ্চ মানমাত্রা ৭৫ ডেসিবল হলেও রাজধানীর ধানমণ্ডির শংকর মোড়ে সর্বোচ্চ ১১৪ দশমিক ৭ ডেসিবল শব্দ পরিমাপ করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদফতর কর্তৃক ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক কর্মসূচির অধীনে শনিবার শব্দের মাত্রা পরিমাপের জন্য চুক্তিবদ্ধ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট জরিপ কার্যক্রম শুরু করেছে। জরিপের ফলাফল অনুসারে অধিদফতর কর্তৃক শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে পরবর্তী সময়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা শহরের ৭০টি স্থানে জরিপ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। প্রতিটি স্থানে দু’টি কর্মদিবস ও একটি ছুটির দিনে পিক ও অফ-পিক আওয়ারে শব্দের মাত্রা পরিমাপ করা হচ্ছে। গতকাল ঢাকা শহরের ১০টি স্থানে একযোগে শব্দের মাত্রা পরিমাপ কার্যক্রম শুরু হলো। বিধিমালা অনুযায়ী রাতে শব্দের মানমাত্রা সর্বনিম্ন ৪০ ডেসিবল এবং সর্বোচ্চ ৭৫ ডেসিবল নির্ধারণ করা হয়েছে। সে হিসেবে শনিবার শব্দের মাত্রা পরিমাপ করে দেখা যায়, ঢাকায় নির্ধারিত মানমাত্রার চেয়ে প্রায় দেড়গুণ শব্দ সৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকা শহরে বিভিন্ন স্থানে প্রাপ্ত শব্দের মাত্রা যথাক্রমে শাহজালাল এভিনিউ, উত্তরায় সর্বোচ্চ ৯৩ দশমিক ৫ এবং সর্বনিম্ন ৬০ দশমিক ৯, জসিমউদ্দিন রোড, উত্তরায় সর্বোচ্চ ৯৫ দশমিক ৮ এবং সর্বনিম্ন ৬৪ দশমিক ২, মিরপুর-১ এ সর্বোচ্চ ৯৬ এবং সর্বনিম্ন ৫৬, পল্লবীতে সর্বোচ্চ ৯১ দশমিক ৫ এবং সর্বনিম্ন ৪৯ দশমিক ১, ধানমণ্ডি বয়েস স্কুলের সামনে সর্বোচ্চ ১০৭ দশমিক ১ এবং সর্বনিম্ন ৬৩ দশমিক ৮, ধানমণ্ডি রোড নং ৫-এ সর্বোচ্চ ৯৫ দশমিক ৫ এবং সর্বনিম্ন ৫৫ দশমিক ৭, শংকর মোড়ে সর্বোচ্চ ১১৪ দশমিক ৭ এবং সর্বনিম্ন ৬৪, নিউমার্কেটের সামনে সর্বোচ্চ ১০৪ দশমিক ১ এবং নিম্ন ৬৪, পিজি ও বারডেম হাসপাতালের সামনে সর্বোচ্চ ৯৭ দশমিক ৩ এবং সর্বনিম্ন ৬৮ দশমিক ৪ এবং সচিবালয়ের সামনে সর্বোচ্চ ৮৮ এবং সর্বনিম্ন ৫৭।