তেজগাঁও আহসান মঞ্জিল আবদুল্লাহপুর মতিঝিল ধানমন্ডির বায়ু সবচেয়ে দূষিত 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চলতি বছরের জানুয়ারিতে একদিনও ‘ভালো বায়ু’ গ্রহণ করতে পারেনি ঢাকাবাসী। আর ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ঢাকায় গড় বায়ুদূষণের পরিমাণ বেড়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘বিপজ্জনক মাত্রায় ঢাকার বায়ুদূষণ: জনস্বাস্থ্য ও দুর্যোগ মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি’ শীর্ষক গবেষণায় এ কথা জানানো হয়।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক এবং স্ট্যামফোর্ড বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) পরিচালক অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার এ গবেষণা উপস্থাপন করেন।

বলা হয়, ২০২১ সালে ঢাকা শহরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত ছিল তেজগাঁও এলাকা। এখানে প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে বস্তুকণা ছিল ৭০ মাইক্রোগ্রাম। এর পরের অবস্থানে ছিল শাহবাগ এলাকা। এখানে প্রতি ঘনমিটারে বস্তুকণা ছিল ৬৮ মাইক্রোগ্রাম।

এরপর আহসান মঞ্জিল, আবদুল্লাহপুর, মতিঝিল, ধানমন্ডি-৩২, সংসদ ভবন, আগারগাঁও, মিরপুর-১০ এবং গুলশান-২ এই এলাকাগুলোর বায়ুতে গড় বস্তুকণা প্রতি ঘনমিটারে যথাক্রমে ৫৭, ৬২, ৬০, ৬৩, ৫৯, ৬১, ৬৬ এবং ৬৫ মাইক্রোগ্রাম ছিল। প্রতিটি স্থানেই গড় বস্তুকণা নির্ধারিত মানমাত্রার (২ দশমিক ৫) কয়েকগুণ বেশি ছিল।

গবেষণায় অনুযায়ী, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে গড়ে বায়ুদূষণের পরিমাণ বেড়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২২ সালে জানুয়ারি মাসে ২৫ দিনের গড় বায়ুমান সূচক ২১৯ দশমিক ৫২তে এসে দাঁড়িয়েছে, যা খুবই অস্বাস্থ্যকর। তিনি বলেন, চলতি মাসে ঢাকার মানুষের একদিনের জন্যও ভালো বায়ু সেবন করার সৌভাগ্য হয়নি। বায়ুমান বেশিরভাগ সময় ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় ছিল।

অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান বলেন, বায়ুদূষণ কমানোর লক্ষ্যে পরিশেষে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ এবং জনসচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, ঢাকা নগরের বায়ুর মান ক্রমান্বয়ে খারাপ হতে হতে বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে গেছে। অথচ নাগরিকদের অবগত করছে না সরকার।