তিতাসের বকেয়া সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের বকেয়া ৪ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা। বিদ্যুৎ খাত, সার কারখানা, ক্যাপটিভ, শিল্প খাত, বাণিজ্যিক, আবাসিক ও মৌসুমি গ্রাহকদের কাছে এই টাকা পাবে তারা।
রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই টাকা আদায়ের তাগিদ দেয়া হয়।
২০১৯ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত তিতাসের পাওনা ৪ হাজার ৬১৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। বকেয়ার মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা ৭৩৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা এবং বেসরকারি গ্রাহকের কাছে ৩ হাজার ৮৮২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
বকেয়া আদায়ের জন্য প্রচার, লিফলেট বিতরণ, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার, নোটিশ প্রদান এবং বিশেষ ক্ষেত্রে গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। তাছাড়া বিজিএমইএ ও বিকেএমই এবং সরকারি দপ্তরগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমিটিকে জানান, বিল করার পরে শিল্পের ক্ষেত্রে ৪৫ দিন, আবাসিকে ২১ দিন ও সিএনজির ২০ দিনের সময় শোধ করার কথা। কিন্তু এই সময়ে অনেকে বিল শোধ না করার কারণে এই বকেয়া বাড়ছে।
আবাসিকে গ্যাসের সংযোগ বন্ধ থাকার পরও কীভাবে সংযোগ দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েও বৈঠকে প্রশ্ন তোলেন সংসদীয় কমিটির সদস্যরা। তারা বলেন, এর নেপথ্যে তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত। এসব অসাধু ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির সুপারিশ করেছে কমিটি।
শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, আবু জাহির, আলী আজগর, নূরুল ইসলাম তালুকদার, আছলাম হোসেন সওদাগর ও নার্গিস রহমান অংশ নেন।