তিতাস গ্যাসে ২২ ধাপে দুর্নীতি: প্রতিবেদন দিল দুদক
তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন এন্ড ট্রান্সমিশন কোম্পানি (তিতাস গ্যাস) বিভিন্ন ধাপে দুর্নীতি করে বলে অভিযোগ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এবিষয়ে অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন-দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান।
বুধবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এর হাতে এ প্রতিবেদন তুলে দেন তিনি।
২২টি ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয় তিতাসে; আর সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির হয়
দুদকের প্রতিবেদনে মোট ১২ দফা সুপারিশ করা হয়েছে।
তিতাসের স্বচ্ছতা ও দুর্নীতি বিষয়ে চালানো এ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবৈধ গ্যাস সংযোগে বড় ধরণের দুর্নীতি হয়। বিশেষ করে শিল্প কারখানায় অবৈধ সংযোগ দিয়ে বেশ লাভবান তিতাসের কতিপয় কর্মকর্তা। এক্ষেত্রে বড় ধরনের অর্থ লেনদেন হয়। শক্তিশালী এই চক্রর বিরুদ্ধে কখনো কখনো অবৈধ সংযোগ বন্ধ করতে আদালতেরও শরণাপন্ন হতে হয় কর্তৃপক্ষকে। প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, এ পর্যন্ত ১ লাখ ১৮ হাজার অবৈধ সংযোগের সন্ধান পাওয়া গেছে। এতে কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়।
দুদকের অনুসন্ধানে ১ লাখ ১৮ হাজার অবৈধ সংযোগের সন্ধান পাওয়া গেছে। আর গত ১৫-১৬ অর্থবছরে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।
বিদ্যুতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরা—লাইন বাইপাস করা থেকে শুরু করে লোড বাড়ানো কমানো করে অর্থের বিনিময়ে।
ভূয়া সংকেত দিয়ে বিল আদায়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানান দুদক কর্মকর্তা।