গ্যাস প্রিপেইড মিটারে ঋণাত্মক স্থিতি ২ হাজার টাকা হলো
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি প্রি-পেইড মিটারের ঋণাতক স্থিতি দুই হাজার টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে। আগে যা দুইশত টাকা ছিল।
করোনাভাইরাসের কারণে গ্রাহকদের এই সুবিধা দেয়া হয়েছে।
তিতাস গ্যাস কোম্পানির গ্রাহকদের প্রি-পেইড মিটারে ২০০ টাকার বেশি ঋণ হলেই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এখন দুই হাজার টাকা পর্যন্ত বাকি না হওয়া পর্যন্ত সরবরাহ বন্ধ হবে না।
আবাসিকে দুই হাজার টাকার সমমানের গ্যাস মানে চার মাসের সমতুল্য। সাধারণত একজন গ্রাহক মাসে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকার গ্যাস ব্যবহার করেন।
সীমা বাড়ানোর পরও জরুরি পয়োজনে ব্যাংকের মাধ্যমে রিচার্জ করা যাবে।
রিচার্জ কোথায় করা যায় এবং ব্যাংকের নাম তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (টাইটাস গ্যাস.org.bd) আছে।
তিতাস গ্যাস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব রোধে সরকার ঘোষিত ছুটির সময়ে গ্যাস বিল পরিশোধে শিথিল করার সরকারের সিদ্ধান্তের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্ত অনুসারে, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে পরিবারের গ্রাহকদের এই বছরের জুন পর্যন্ত বিল পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত চার্জ দেয়া লাগবে না।
গ্যাস বিতরণ বিধিমালা ২০১৪ অনুসারে গ্রাহকদের বিল পরিশোধের সময়সীমা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে গ্রাহকরা এখন ২০২০ সালের জুনে যেকোনো সুবিধাজনক সময়ে ফেব্রুয়ারি-মে এর বিল পরিশোধ করতে পারবেন, কোনও অতিরিক্ত চার্জ ছাড়াই।
ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগও একই রকম পরিপত্র জারি করে ফেবু্রয়ারি-এপ্রিল বিল পরিশোধের সময়সীমা শিথিল করেছে। তবে প্রিপেইড বিদ্যুতের ক্ষেত্রে এমন কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। বরং বেশি রিচার্জ করে রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।