দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে রাশিয়ার সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত
সম্প্রতি ভিয়েনায় আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি এজেন্সির সাধারণ সম্মেলন চলাকালীন রাশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা পারমাণবিক শক্তির ক্ষেত্রে কৌশলগত অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তির ফলে দক্ষিণ আফ্রিকায় রুশ ভিভিইআর প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৯.৬ গিগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন (৮টি ইউনিট) আণবিক শক্তি প্রকল্প স্থাপনের ভিত্তি তৈরি হলো। রুশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আফ্রিকা মহাদেশে এগুলোই হবে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প।
রুশ রাষ্ট্রীয় আণবিক শক্তি কর্পোরেশন (রসাটম) এর মহাপরিচালক সের্গেই কিরিয়েনকা ও দ. আফ্রিকার জ্বালানিমন্ত্রী টিনা জোমার্ট-পিটারসন নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
পারমাণবিক শক্তির অন্যান্য ক্ষেত্রেও সহযোগিতার উল্লেখ রয়েছে চুক্তিটিতে। যার মধ্যে রয়েছে রুশ প্রযুক্তিনির্ভর বহুমুখী ব্যবহার যোগ্য গবেষণা রিয়েক্টর, দক্ষিণ আফ্রিকার আণবিক শক্তি অবকাঠামো নির্মাণে রুশ সহায়তা, রুশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষজ্ঞদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ। যৌথ কর্মসূচিতে নতুন আণবিক শক্তি প্রকল্পগুলো নির্মাণে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সরঞ্জাম স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের কথাও উল্লেখ রয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কিরিয়েনকা বলেন, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের বড় স্কেলের জাতীয় আণবিক শক্তি কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সক্ষমতা অর্জন করবে। ভবিষ্যতে রাশিয়া ও দ. আফ্রিকা যৌথভাবে অন্যান্য দেশে আণবিক শক্তি প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে।
টিনা জোমার্ট-পিটারসন বলেন, আমরা পূর্বের যে কোন সময়ের তুলনায় বর্তমানে আণবিক শক্তির ব্যাপক উন্নয়নে অত্যন্ত আগ্রহী। কেননা, জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়নে এটি গতি সঞ্চার করবে। রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতার ফলে আধুনিক ও নিরাপদ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২০৩০ সাল নাগাদ ৯.৬ গিগাওয়াট আণবিক শক্তি উৎপাদনের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।