দমন-পীড়নে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের প্রতিবাদে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে। দমন-পীড়ন করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। জনগণের আন্দোলনের মুখে শেষ পর্যন্ত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করতেই হবে।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত এক  সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল প্রেসক্লাব এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
সমাবেশ থেকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে ফেইসবুকে পোস্ট দেয়ার অপরাধে আটক বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়ের মুক্তির দাবি করা হয়।
সমাবেশে আনু মুহাম্মদ বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবনের ক্ষতি করবে এই তথ্য উপস্থাপন করেছি আমরা। সরকারও তাদেরও তথ্য উপস্থাপন করবে। দমন-পীড়ন করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের যে চেষ্টা সরকার করছে তা আরো খারাপ দিকে যাচ্ছে। এভাবে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। তথ্যের বদলে তথ্য দিতে হবে। তিনি বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে সরকার। এই বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষকে বোঝানো যাবে না। বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিকল্প জায়গা আছে, কিন্তু সুন্দরবনের কোনো বিকল্প নেই। তাই বিজ্ঞাপনী খেলায় কোনো কাজ হবে না। আনু মুহাম্মদ বলেন, রামপালে ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসি বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে। এই কোম্পানির বিরুদ্ধে এরইমধ্যে অনেক ঘটনা শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি শ্রীলংকা তাদের পরিবেশের কথা বিবেচনা করে এনটিপিসির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে তা রামপালের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সরকার বলছে, আমরা ভারত বিদ্বেষী কথা ছড়াচ্ছি। আসলে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খারাপ হতে পারে। তাই দু’দেশের বন্ধুত্বের কথা বিবেচনা করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করা দরকার।
সমাবেশ থেকে জানানো হয়, আগামী ৬ অক্টোবর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের আন্দোলনের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবে জাতীয় কমিটি। সংবাদ সম্মেলন থেকে নতুন কর্মসুচি ঘোষণা করা হবে।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বায়ক জোনায়েদ সাকী, কামাল উদ্দিন সবুজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।