দাতা সংস্থাগুলোর কারণে বিদ্যুৎখাতের টাকা ফেরত যাচ্ছে: প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দাতা সংস্থাগুলোর কারণে এবার বিদ্যুৎখাতের টাকা ফেরত যাচ্ছে। আমাদের নিজস্ব কোনো টাকা ফেরত যাচ্ছে না, যাচ্ছে দাতাদের অর্থায়নকৃত প্রকল্পের টাকা।
বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ৮ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। এরপর তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এডিবি, বিশ্বব্যাংক, আইএফসি যেসব প্রকল্পে বিনিয়োগ করে সেখানে বার বার দরপত্র আহ্বান করতে বলে। তাদের যুক্তি, বিডাররা চাচ্ছে। এমনও কিছু প্রকল্প আছে যেখানে চারবার দরপত্র আহবান করা হয়েছে। এতে করে কাজের গতি কমে যায়। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা যায় না। এজন্য টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হচ্ছি আমরা।
প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ করা টাকার পুরোটা খরচ করতে পারেনি বিদ্যুৎ বিভাগ। সংশোধিত এডিপিতে টাকা ফেরত দিতে চেয়েছে তারা।
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার সময় ইআরপি, সোলার রুপটপ হতে বিদ্যুৎ, সোলার পার্ক, ট্রান্সমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি, মানব সম্পদ উন্নয়ন, লোড ডিসপাচ সেন্টারের আধুনিকায়ন, আঞ্চালিক সংযোগ বৃদ্ধি, ভুটান হতে জলবিদ্যুৎ আমদানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বন্ড, এলএনজি টার্মিনাল, এলপিজি ইত্যাদি বিষয়ের প্রতিমন্ত্রী বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পারষ্পারিক সহযোগিতার ভিত্তিতে এসব প্রকল্প নেয়া যেতে পারে। বিদ্যমান বিভিন্ন প্রকল্পে দাতা সংস্থাগুলোর দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী সমালোচনা করে বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে আমরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। উভয় পক্ষের নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে আন্তরিক হওয়া উচিত।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র রেজিওনাল এ্যাডভাইজার ফিলিপ ডনগারের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে প্যাকটিস ম্যানেজার জুলিয়া বাকনাল, জ্বালানি উপদেষ্টা রাম বিনয় শাহী, প্রোগ্রাম লিডার ঝি ট্যাং, লিড ইকোনোমিষ্ট শিউলী পারগাল, সিনিয়র জ্বালানি বিশেষজ্ঞ মো. ইকবাল, যোবাইর কে এম সাদেক, মোহাম্মদ আনিস ছিলেন। এ সময় পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা বলেন, সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে অটোমেশন, ইআরপি ইত্যাদি প্রযুক্তিতে দ্রুত যাওয়া প্রয়োজন। বিশ্বব্যাংকের জ্বালানি উপদেষ্টা রাম বিনয় শাহী বলেন, ভুটান-ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আঞ্চলিক সংযোগ সম্প্রসারণ করতে বিশ্বব্যাংকের পরবর্তী মন্ত্রী পর্যায় ও সচিব পর্যায় বৈঠকে আলোচনা করা হবে। যথাযথ প্রস্তাব পেলে বিশ্বব্যাংক সোলার রুপটপ ও সোলার পার্কে অর্থায়নেও আগ্রহ প্রকাশ করে।