দাম কমবে এলপিজি ও সৌর, বাড়বে কয়লার

আবাসিক গ্রাহকদের বোতলজাত তরল প্রকৃতিক গ্যাস (এলপিজি) ব্যবহারে উৎসাহ দিতে এতে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। একই সাথে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে কমানো হচ্ছে সৌর যন্ত্রের। আর দাম বাড়াতে বলা হয়েছে বড়পুকুরিয়া খনির কয়লার।
আজ বৃহষ্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের দেয়া ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এই প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
বাজেটে গত বছরের মত এবারও গ্যাস ও বিদ্যুৎখাতের মূলধনি পণ্যেও শুল্ক কর অব্যাহতি দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। তাছাড়া, বায়োগ্যাস প্লান্টের উপকরণ যেমন, স্টোভ (চুলা), বাতাস প্রতিরোধক ব্যাগ সাথে চেইন (এয়ার টাইট স্টোরেজ ব্যাগ উইথ জিপার), বয়োম্যাস ডাইজেস্টার এবং প্লাস্টিক ও কাচেঁর তৈরী গ্যাস সিলিন্ডার আমদানি শুল্ক-কর কমিয়ে রেয়াতি হারে শুল্ক নির্ধারনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
এলপিজি’র ব্যবহার বাড়ানোর জন্য এর শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এলপিজি প্লাস্টিক ও গ্লাস ফাইবার সিলিন্ডারে এখন ২৫ শতাংশ শুল্ক আছে। এটা কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া গ্যাসে ব্যবহার করা কিছু পণ্যের উপর শুল্ক কর রেয়াত দেয়া হয়েছে। বায়োমাসের চুলা আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক ছিল। এখন তা ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
সৌর বিদ্যুতে ব্যবহার করা এল্যুমিনিয়াম ফ্রেম এর শুল্ক-কর রেয়াত দেয়া হয়েছে। সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য এই সুবিধা দেয়া হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লার দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে এই দাম ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া মধ্যপাড়া কঠিন শিলাখনির পাথরের উপর থেকে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর তুলে নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এতে মধ্যপাড়া কঠিন শিলাখনির পাথর পদ্মা সেতুতে এবং আরও বড় কাজে ব্যবহারের সুযোগ বাড়বে।

ইলেকট্রিক্যাল খাতে কিছু পণ্যের শুল্ক কমানো এবং কিছু পণ্যের বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। যেসব উপকরণের শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ইউরিয়া রেজিন, ডিওপি, রোল আকারের এ্যাডহেসিভ টেপ, ফাইবার গ্লাস, কম্প্রেসারের যন্ত্রাংশ ও উপকরণ। ইউরিয়া রেজিনে ২৫ শতাংশ শুল্ক ছিল এটা কমিয়ে ১৫ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে। ডিওপিতে ২০ শতাংশ ছিল ১০ শতাংশ প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এছাড়া রোল আকারের এ্যাডহেসিভ টেপে (২০সেন্টিমিটারের উপরে) ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫, রোল আকারের এ্যাডহেসিভ টেপে (২০সেন্টিমিটারের নিচে) ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে শুন্য, ফাইবার গ্লাসে ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে শুন্য, কম্প্রেসারের যন্ত্রাংশ ও উপকরণে ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে ল্যাম্প হোল্ডার, কানেক্টর ও বাসবারে। ল্যাম্প হোল্ডারে কোন শুল্ক ছিল না। এখন তা ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ক্যাবল কানেক্টরেও ১০ শতাংশ শুল্ক প্রস্তাব করা হয়েছে। বাসবার ট্রাঙ্ককিং পদ্ধতিতে ছিল পাঁচ শতাংশ এটা ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।