দাম যৌক্তিক করতেই মিশ্র জ্বালানির ব্যবহার বাড়ছে: নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানির দাম যৌক্তিক ও সহনীয় রাখতে জ্বালানি মিশ্রণ বহুমুখী করা হচ্ছে। জ্বালানি নিরাপত্তা বিধান ও ঘরে ঘরে সাশ্রয়ি বিদ্যুৎ পৌছে দেয়াই সরকারের মূল লক্ষ্য। প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহে প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এলএনজি, এলপিজি, কয়লা, স্থল এবং অগভীর-গভীর সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধান ও অবকাঠামো নির্মাণের উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
আজ শনিবার মিলিটারি ইনিস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজিতে এনার্জি ‘সিনারিও এন্ড প্রোসপেক্টাস অব পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড: বদরুল ইমাম বাংলাদেশে গ্যাসের সম্ভাবনা শীর্ষক ভূতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ ও পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসেইন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অর্জন ও ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে এমআইএসটি-এর কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো: আবুল খায়ের, এনডিসি, পিইঞ্জ বক্তব্য রাখেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের ব্যাপ্তি বাড়ছে। সম্ভাবনা উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হচ্ছে। যার যার অবস্থান থেকে পেশাদারি মনোভাব নিয়ে এগুলেই নির্ধারিত সময়ের আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। তিনি বলেন, প্রায় ৭০ ভাগ ঘরে এখন এলপিজি ব্যবহƒত হচ্ছে। বাংলাদেশে গভীর সমুদ্র বন্দর থাকলে এলপিজির দাম আরো কম হতো। তবে এর দাম কমানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ সময় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে পেট্টোকেমিক্যাল ইন্ডাস্টিজের রয়েছে উজ্জ্বল সম্ভাবনা। এ সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতে প্রয়োজন প্রতিশ্র“তিশীল পেট্টোলিয়াম ও মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার। ব্যবহারিক শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের জন্য ইন্টার্ণশীপ-এর ব্যবস্থা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। প্রতিমন্ত্রী জানান, আগামী ৫ বছরের মধ্যে দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে সরকারের নেয়া নানান উদযোগের ফলে পেট্রোলিয়াম খাতে প্রায় বিশ হাজার এবং গ্যাস ক্ষেত্রে ১০ হাজার দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন হবে।