দিনভর লোডশেডিং
গ্রিড বিপর্যয়ের পর রাজধানীসহ দেশের বেশিরভাগ জায়গায় শনিবার রাত থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। কিন্তু বিদ্যুতের উৎপাদন ধীরে ধীরে বাড়াতে হয়। এক সাথে সব স্থানে বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব হয়নি। ফলে প্রচুর লোডশেডিং করতে হয়।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন উৎপাদন স্বাভাবিক আছে। উৎপাদনের জন্য কোথাও লোডশেডিং হচ্ছে না।
এদিকে গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিং এর খবর পাওয়া গেছে। শান্তিনগরের এক বাসিন্দা জানান, মধ্যরাতে বিদ্যুৎ এলেও বার বার বিদ্যুৎ চলে গেছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চারবার লোডশেডিং হয়েছে। শনিবারের ভোগান্তির পর রোববার আবার এভাবে ঘন ঘন লোডশেডিং এর ঘটনায় ভোগান্তি আরও বেশি হয়েছে। বাসাবো থেকে মিলন জানান. দুপুর পর্যন্ত কয়েকবার লোডশেডিং হয়েছে। সন্ধ্যয়ও লোডশেডিং এর থেকে মুক্তি মেলেনি। বনশ্রীতে দিনের বেলায় এক ঘন্টা পর পর আর সন্ধ্যার পর কয়েক দফা লোডশেডিং হয়েছে।
পিডিবি জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ছয় হাজার ৬০০ মেগাওয়াট এবং উৎপাদন হয়েছে ছয় হাজার ২৭৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল হাসান বলেন, গতকাল দিনের বেলা ঢাকায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল প্রায় ৮৫০ মেগাওয়াট। ডিপিডিসিকে দেয়া হয়েছে ৭৪০ মেগাওয়াট। বাকীটুকু লোডশেডিং করতে হয়েছে। এ কারণে দিনের বেলা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং হয়েছে।