দুইদেশের সম্পর্কের নতুন মাইলফলক

শুরু হলো ত্রিপুরা ‍থেকে বিদ্যুৎ আমদানি এবং বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ রফতানি। বুধবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যৌথভাবে ত্রিপুরা-কু‌মিল্লা আন্তঃ‌দেশীয় গ্রি‌ডের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে ত্রিপুরা থেকে সংযুক্ত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
উদ্বােধনী অনুষ্ঠানে দুই দেশে্র সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরেকটি মাইলফলক স্থাপন করলো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিদ্যুৎ আমদানি আমাদের জ্বালানির চাহিদা পূরণ হবে। বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ রফতানিতে ত্রিপুরাসহ এ অঞ্চলের বিকাশে ভূমিকা রাখবে। ২০০৯ সাল থেকে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক গভীর হয়। বিদ্যুৎ-ব্যান্ডউইথ বিনিময় সে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরেকটি মাইলফলক স্থাপন করলো।
তিনি বলেন, আমরা চাই, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। এ অঞ্চলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, আঞ্চলিক আন্তঃসংযোগে। যৌথ উদ্যোগে ভারতের সঙ্গে রামপালে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়াও ভুটান ও নেপালে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য কাজ চলছে। খুব দ্রুত এ কাজগুলো সম্পন্ন হচ্ছে।

অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ঐতিহাসিক এ ঘটনায় আজ আমাদের মধ্যে এমন এক গেটওয়ে খুলছে, যা আমাদের আরো সামনে অগ্রসর হতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশের সঙ্গে ডিজিটাল বিশ্বের এ গেটওয়ে খুলছে।
তিনি বলেন, আসাম, ত্রিপুরাসহ এ অঞ্চলের জন্য যে ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপন করা হয়েছে, তার ধারণক্ষমতা আমরা প্রথম থেকেই বেশি রেখেছি। আসছে দিনগুলোয় প্রয়োজন হলে আমরা আরো বেশি বিদ্যুৎ রফতানি করতে পারবো।

নরেন্দ্র মোদি তার বক্তব্যে আরও বলেন, বাংলাদেশ আর ভারত যুক্ত হয়েই চলেছে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সামনে বাড়ছে। এবার মহাশূন্যেও আমরা একসঙ্গে সামনে বাড়বো। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে আমরা সহযোগিতা দেবো।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আধুনিক বিজ্ঞানের কল্যাণে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ও একজন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এভাবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে।

তিনি শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু সব সময়ই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রেখেছেন। আপনিও সে সঙ্কটকালীন সময়ে আকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছেন। একটা সময় ছিল বাংলাদেশ দুঃখ-দুর্দশাগ্রস্ত ছিল। আজ বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। ক্রান্তিকালে যেমন আমরা পাশাপাশি যেমন ছিলাম, এখনো আছি।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষেও সমস্ত ভারতবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান। বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট বিনিময়ের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষেও ছিল তার অভিনন্দন।
অন্যদিকে হোলি উৎসব উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও জনগণকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনা।