দুই কর্মকর্তার গাফিলতির কারণে সার কারখানায় গ্যাস ট্যাংক বিস্ফোরণ
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সার কারখানার অ্যামোনিয়া গ্যাসের ট্যাংক বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তার গাফিলতিকে দায়ী করে প্রতিবেদন দিয়েছে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি।
বুধবার এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। পরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মেজবাহ উদ্দিন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোমিনুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কারখানার উপ প্রধান প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) দিলীপ কুমার বড়ুয়া এবং মহা ব্যবস্থাপক (ব্যবস্থাপনা) নকিবুল ইসলাম তাদের দায়িত্ব ‘সঠিকভাবে পালন করেননি’। তাদের গাফিলতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
তদন্ত কমিটি এ দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫০০ টন ধারণক্ষমতার ওই ট্যাংকে ৩৪০ টন গ্যাস ছিল। অ্যামোনিয়া ট্যাংকটির নিরাপত্তার জন্য পাঁচ ধরনের সুরক্ষা যন্ত্র ছিল। যার সবগুলোই ছিল অকেজো।
গত ২২ অগাস্ট রাতে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী আনোয়ারা উপজেলার ডিএপি সার কারখানার অ্যামোনিয়া ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়ে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে।
গ্যাসের প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন অর্ধশতাধিক মানুষ। আশপাশের ঘেরের মাছ মরার পাশাপাশি গাছের পাতাও বিবর্ণ হয়ে যায়। অ্যামোনিয়া মিশে জলাশয়ের পানির রঙ পাল্টে যায়।
এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোমিনুর রশিদ ছাড়াও আনোয়ারার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গৌতম বাড়ৈ ও কর্ণফুলী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে ছিলেন।