দেশে জ্বালানি ব্যবহারে বৈষম্য আছে – প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশে জ্বালানি ব্যবহারে বৈষম্য আছে, তবে সরকার এ বিষয়ে সচেতন আছে এবং এই বৈষম্য কমানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ৮০ ভাগ মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিতে চায় সরকার।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এর উদ্যোগে বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ‘‘বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানী ব্যবস্থায় দরিদ্র মানুষের প্রবেশ অধিকার’’ শীর্ষক এক পরামর্শ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে পাহাড়, চর, দ্বীপ সহ অনেক দুর্গম অঞ্চল রয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানীর ক্ষেত্রে আমাদের প্রধান টার্গেট এই অঞ্চলগুলো। তিনি পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বৈষম্য দূর করার জন্য সকলকে একসাথে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান এবং সোলার ব্যবসায়ীদের গুনগত মান বজায় রেখে ব্যবসা করার জন্য আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর সহ-সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার বজলুর হকের সভাপতিত্বে সভায় অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এনার্জির পরিচালক অধ্যাপক সাইফুল হক, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, জ্বালানি অধিকার আন্দোলনের ড. এম সামসুল আলম, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত-সচিব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব সিদ্দিক জোবায়েরসহ প্রমূখ। সভাটি সঞ্চালনা করেন বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডা.আব্দুল মতিন। সভায় মূল প্রবন্ধ উত্থাপন করেন বারসিকের গবেষক মো. এরশাদ আলী। এছাড়াও বারসিক প্রতিনিধি সৈয়দ আলী বিশ্বাস, এ বি এম তৌহিদুর রহমান, মো: জাহাঙ্গীর আলম, ফেরদৌস আহম্মেদ উজ্জ্বল উপস্থিত ছিলেন।