দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সন্তষজনক গ্যাস মজুদের সম্ভাবনা
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সন্তষজনক গ্যাস মজুদের সম্ভাবনা আছে। তবে সে গ্যাস অনুসন্ধানে সন্তোষজনক কূপ খনন করা হয়নি।
শনিবার ঢাকা ক্লাবে ফোরাম ফর এনার্জি রোপর্টাার্স (এফইআরবি) আয়োজিত আয়োজিত ‘ভোলা গ্যাস ক্ষেত্র ও জ্বালানি নিরাপত্তা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা একথা বলেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, জ্বালানি চাহিদা মেটাতে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। আগামী ২/৩ মাসের মধ্যে এলএনজি সরবরাহ করা হবে্। আমদানি করা জ্বালানির পাশাপাশি দেশীয় জ্বালানি অনুসন্ধানেরও কাজ করা হচ্ছে। কিছু জ্বালানি ঝুঁকি নিয়ে মেটাতে হবে। কিছু দেশীয় জ্বালানি দিয়ে মেটাতে হবে।তিনি বলেন, ভোলায় যে গ্যাস আছে তা দিয়ে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। দেশে বিপুল তেল-গ্যাস মজুদের সম্ভাবনা আছে। ভোলায় নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের পর সেই সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হয়েছে। দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলোয় আরও বেশি মূল্যায়নসহ উন্নয়ন কূপ খনন করতে হবে।ভোলায় এখন দেড় টিসিএফ মজুদ আছে বলে তিনি জানান।
মূল প্রবন্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সন্তষজনক গ্যাস মজুদের সম্ভাবনা আছে। ভোলার দুই গ্যাসক্ষেত্রের কাছেই চর জব্বার, চর জব্বার উত্তর, মনপুরা, মহেশখালী ও সন্দ্বীপেও গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আগে সব গ্যাস ছিল সিলেট অঞ্চলে সুরমা বেসিনে। ভোলায় গ্যাস পাওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলে মেঘনা বেসিনে গ্যাস পাওয়ার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।
এফইআরবির চেয়ারম্যান অরুণ কর্মকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি এএসএম মাকসুদ কামাল, গ্যাসপ্রম ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তুমানভ সার্জেই ও বাপেক্সের সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমজাদ হোসেন।