দেশে প্রথম ৪০০ কেভি ভোল্টেজের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন চালু

পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ লি. (পিজিসিবি) বিবিয়ানা-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি দ্বৈত সার্কিট বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন চালু করেছে। এটি চালু হওয়া বাংলাদেশের একক ৪০০ কেভি ভোল্টেজের প্রথম বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন।
আজ সোমবার এই লাইন চালু করা হয়েছে। এ লাইনের মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের বিবিয়ানায়  প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সঞ্চালন করা যাবে। পাশাপাশি নতুন এই লাইন চালুর ফলে জাতীয় গ্রীডের সক্ষমতা বেড়েছে।
নতুন এই লাইন ১৬৮ কিলোমিটার লম্বা। লাইনটি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ, বানিয়াচং ও আজমেরীগঞ্জ উপজেলা; কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা, মিঠামইন, নিকলি, করিমগঞ্জ, কটিয়াদি ও পাকুন্দিয়া উপজেলা; ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলা; এবং গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া, শ্রীপুর, গাজীপুর সদর ও কালিয়াকৈর উপজেলার উপর দিয়ে নেয়া হয়েছে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে লাইনটি ৪০০ কেভি (চার লাখ ভোল্ট) বিদ্যুৎ দ্বারা চালু করা হয়েছে। যা পরবর্তীকালেও বিদ্যুতায়িত অবস্থায় থাকবে। পিজিসিবি’র মেঘনাঘাট-আমিনবাজার প্রথম ৪০০ কেভি ক্ষমতার লাইনটি ২৩০ কেভি ভোল্টেজে চালু করা আছে। বিবিয়ানা-কালিয়াকৈর এ এই নতুন লাইনের জন্য দুই পাশেই ৪০০/২৩০ কেভি গ্রীড উপকেন্দ্র করা হয়েছে।
পিজিসিবি সংশ্লিষ্ঠরা জানিয়েছেন, নতুন লাইনটি সিলেট ও ঢাকার মধ্যে  মেরুদণ্ড বা মূল লাইন  হিসাবে নির্মাণ করা হয়েছে। বিবিয়ানায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং বেসরকারি খাতের একাধিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো থেকে নিকট ভবিষ্যতে প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। যা এই নতুন বিদ্যুৎ লাইনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রীডে সঞ্চালন করা যাবে। পিজিসিবি’র দ্বৈতসার্কিট এ লাইনের প্রতি সার্কিটের সঞ্চালন সক্ষমতা প্রায় এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট।
বিবিয়ানা ছাড়াও সিলেট অঞ্চলে আরও কিছু ছোট-বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে আছে। প্রয়োজনে সেসব বিদ্যুৎ-ও এ লাইনে ঢাকা হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সঞ্চালন করা যাবে। লাইনটি বিবিয়ানা-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন এবং ফেঞ্চুগঞ্জ-বিবিয়ানা ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইন উন্নয়ন প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। এই সঞ্চালন লাইন কোরিয়া সরকারের ইডিসিএফ, বাংলাদেশ সরকার এবং পিজিসিবি’র অর্থায়নে করা হয়েছে।