দেশে ২০৩০ সালের মধ্যে ধোঁয়ামুক্ত রান্নাঘর করা হবে

২০৩০ সালের মধ্যে ধোঁয়ামুক্ত রান্নাঘর তৈরীর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে দেশের ১০ কোটি চুলাকে পরিবেশ বাল্পব্দব করা হবে। এজন্য এক কোটি ৫০ লাখ ডলারের একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে।
বুধবার রাজধানির বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন। ক্যাটালাইজিং ক্লিন এনার্জি ইন বাংলাদেশ (সিসিইবি) এই সেমিনারের আয়োজন করে। সিসিইবি ইউনাইটেড স্টেস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এর একটি প্রকল্প। গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ক্লিন কুকস্টোভস- ইউনাটেড নেশনস ফাউন্ডেশন এর সহায়তায় গতকাল এই প্রকল্পের তৃতীয় বার্ষিক বাজার সহায়ক আলোচনার আয়োজন করা হয়। আলোচনার প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘ট্রানজিশনিং টুওয়ার্ডস এ সাসটেইনেবল মার্কেট’। ২০০ জনের বেশি উদ্যোক্তা, সরকারি কর্মকর্তা ও জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক এনজিও কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, পরিবেশ বান্ধব রান্নার সমাধানের জন্য একটি শক্তিশালী ও টেকসই বাজার তৈরি করতে হবে। চুলা তৈরী ও বিতরণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যের উন্নতির দিকে নজর দিতে হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ইউএসএআইডি’র ইকোনমিক গ্রোথ অফিস ডিরেক্টর ফারহাদ ঘাউসি, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আহমেদ কায়কাউস, এশিয়া এবং সাব সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলের অ্যালায়েন্স পরিচালক অরিজিৎ বসু উপস্থিত ছিলেন।
ফারহাদ ঘাউসি বলেন, কম ক্ষতিকর ধোঁয়া নিঃসরণকারী, অল্প জ্বালানী ব্যবহার করে এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক নয় এমন চুলা ব্যবহার করতে হবে। বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য অংশীদারদের সাথে মার্কিন সরকারের দক্ষ জ্বালানী শক্তি ব্যবহারের প্রতিশ্রুতিশীল বলে তিনি জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন, রান্নায় জড়িত কার্বন নিঃসরণ কমাতে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। পরিবারগুলোকে পরিচ্ছন্ন  এবং আরও দক্ষ প্রযুক্তি ও জ্বালানী ব্যবহারে উৎসাহিত করতে সরকার সকল প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করবে। এ ছাড়াও সহযোগীরা রান্নায় পরিবেশ বান্ধব চুলা ব্যবহারের জন্য টেকসই বাজার গঠনে তাদের সহযোগীতার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে পরিবেশ বান্ধব জ্বালানীর উন্নয়নে এবং স্থানীয় পরিবেশ বান্ধব চুলা উৎপাদনকারী, পরিবেশক, খুচরা ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, এনজিও এবং অন্যান্য অংশগ্রহন কারিদের সহায়তা করা হবে।