দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভালো অবস্থানে বিশ্বের জ্বালানি কোম্পানিগুলো
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিশ্বের প্রথম সারির জ্বালানি কোম্পানিগুলো ভালো অবস্থায় ছিল। এ তালিকায় রয়েছে ব্রিটিশ রয়েল ডাচ শেল, মার্কিন এক্সন মবিল এবং কনোকোফিলিপসের মতো কোম্পানি। খবর সিনহুয়া, রয়টার্স এবং বিবিসি।
অ্যাংলো-ডাচ তেল ও গ্যাস কোম্পানি শেল জানিয়েছে, তরলীকৃত জ্বালানির বিপুল উত্পাদন এবং দাম বৃদ্ধির কারণে তাদের মুনাফা বেড়েছে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে তাদের মুনাফা ছিল ৫১০ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময় তা ছিল ২৪০ কোটি ডলার। এছাড়া একই সময় ৬১০ কোটি ডলার আয় হয়েছে, গত বছর যা ছিল ৪৬০ কোটি ডলার। ১৯৪ কোটি ডলারের করসহ সুনাম সমন্বয়ের পর ১০০ কোটি ডলারের নেট চার্জও দিতে হয়েছে তাদের।
যুক্তরাষ্ট্রে পাথুরে খনি থেকে উত্তোলিত তেলের সম্পদগুলোয় এ সুনাম সমন্বয়ের বিষয়টি বেশি জড়িত। এ তেলের উত্পাদনে ছোট কোম্পানিগুলো বেশি ভালো করায় বড় কোম্পানিগুলোকে মুনাফা ধরে রাখতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে।
শেলের প্রধান নির্বাহী বেন ভ্যান বিওরডেন বলেন, বছরের শুরু থেকেই আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করায় বেশ অগ্রগতি হয়েছে। শেলের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে, তারা দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ৪৭ সেন্ট লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এবং বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি।
শেলের মতোই আরেক জ্বালানি কোম্পানি কনোকোফিলিপসও দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভালো অবস্থানে ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের এ বৃহত্তম স্বায়ত্ত্বশাসিত কোম্পানিটি জানিয়েছে, এ সময় তারা ওয়াল স্ট্রিটের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি মুনাফা করেছে। মূলত তেল ও গ্যাস উত্পাদন বেড়ে যাওয়ায় বেশি মুনাফা এসেছে তাদের।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে কনোকোফিলিপসের মোট আয় হয়েছে ২০৮ কোটি ডলার। অর্থাত্ এ সময় তাদের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ ডলার ৬৭ সেন্ট। রয়টার্সের এক জরিপে অর্থনীতিবিদরা শেয়ারপ্রতি ১ ডলার ৬০ সেন্ট আয় হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন।
এ সময় দৈনিক ১৫ লাখ ৬০ হাজার তেল ও গ্যাস উত্তোলন করেছে প্রতিষ্ঠানটি, আগের বছরের একই সময় যা ছিল ১৫ লাখ ১০ হাজার ব্যারেল। তবে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের কারণে তৃতীয় প্রান্তিকে উত্পাদন কম হবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
আরেক মার্কিন জ্বালানি কোম্পানি এক্সন মবিলেরও দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে। পুঁজি কমিয়ে আনার পাশাপাশি জ্বালানি উত্তোলন ব্যয় হ্রাস এর কারণ। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, দ্বিতীয় প্রান্তিকে তাদের নেট আয় বেড়ে হয়েছে ৮৮৮ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তা ২৮ শতাংশ বেশি। এছাড়া রাজস্ব প্রায় ৫ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ১৭০ কোটি ডলার হয়েছে।