ধানমন্ডিতে ট্রান্সফরমান ও উলনে গ্রিড বিকল
সারাদিন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার ভোগান্তিতে দিন পার করতে হয়েছে। ভোগান্তির কবল থেকে বাদ পড়েনি সুপ্রিম কোর্ট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও।
মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে দুইটি ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে যায়। একই সাথে উলন-কাকরাইল গ্রিড লাইন বন্ধ হয়ে যায়। এতে ঢাকার বেশিরভাগ এলাকায় বার বার বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে। প্রায় এক ঘন্টা পর পরই লোডশেডিং করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে ডিপিডিসি।
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) পরিচালক (প্রকৌশল) রমিজ উদ্দিন সরকার জানান, ধানমন্ডির ট্রান্সফরমার মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। রাতের মধ্যে মেরামত শেষ হবত পারে। অন্যদিকে উলন গ্রিডের সমস্যা চিহিক্রত করা যায়নি। কাজ চলছে। সমস্যা জানা গেলেই মেরামত শুরু করা হবে। কখন নাগাদ ঠিক হবে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি তিনি।
ডিপিডিসি জানায়, সকালে ধানমন্ডির দুইটি ট্রান্সফরমারে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ধানমন্ডি, পরিবাগ, গ্রিনরোড, কারওয়ান বাজার, রাজাবাজার, কাকরাইল, আজিমপুর, রমনা এবং এর আশেপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দ্রুত অন্য এলাকা থেকে বিদ্যুৎ এনে সরবরাহ করা হলেও তা চাহিদার তুলনায় ছিল কম।
অন্যদিকে বিকেলে উলন-কাকরাইল সার্কিটে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। একটি সার্কিট আগে থেকেই বন্ধ আছে। এ কারণে কাকরাইল, সিদ্ধেশ্বরী, শান্তিনগর, মালিবাগ, পল্টন, সেগুনবাগিচাসহ হাইকোর্টে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। কাঁটাবন থেকে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। তবে সেখানেও একটি সার্কিট আগে থেকেই বন্ধ থাকায় কাটাবনের আশেপাশের এলাকায় প্রচুর লোডশেডিং করতে হয়েছে।
সকাল থেকেই ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। একদিকে প্রচণ্ড গরম অন্যদিকে লোডশেডিং এ জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গরমে ছোট বাচ্চারা অস্থির হয়ে পড়েছে। দুপুরের দিকে বায়তুল মোকাররম এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মার্কেটের দোকানীদের অনেকেই গরম আর লোডশেডিং এর কারণে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়ে আছেন। গরম আর লোডশেডিং এর কারণে মার্কেটে ক্রেতাও কম।